অভিন্ন নদীগুলো দিয়ে পানি ছাড়ার আগে ভাটির দেশ হিসেবে যেন বাংলাদেশকে জানানো হয়, সে বিষয়ে ভারতের কাছে বার্তা পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
শুক্রবার বিকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় মশাজানে খোয়াই নদীর বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে যদি চুক্তি নাও থাকে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী উজানের দেশ হিসেবে ভারতের পানি ছাড়ার আগে আমাদেরকে জানানোর কথা। কিন্তু এবার সেকথা প্রতিপালিত হয়নি।
“এ ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অভিন্ন নদীগুলোর পানি ছাড়ার আগে যেন বাংলাদেশকে জানানো হয়, এ ব্যাপারে ভারতের কাছে বার্তা পৌছানো হবে।”
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশের ১১টি জেলা বন্যাকবলিত। এসব জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখ। পানিবন্দি আছে ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯টি পরিবারের মানুষ। বন্যায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।
আকস্মিক এই বন্যার কারণ হিসেবে ত্রিপুরা রাজ্যের ডুম্বুর বাঁধের জলকপাট খুলে দেওয়াকে কারণ হিসাবে দেখিয়ে বেশ আলোচনা চলছে সোশাল মিডিয়ায়। তারপরই এমন কথা বললেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা।
এসময় তিনি কথা বলেন হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদী উদ্ধার অভিযান প্রসঙ্গেও। রিজওয়ানা বলেন, “যদি হবিগঞ্জকে বাঁচাতে হয় তাহলে খোয়াইকে রক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। আমরা চেষ্টা করব খুব বেশি টাকার প্রকল্প না নিয়ে অল্প টাকার প্রকল্পে কীভাবে খোয়াইকে রক্ষা যায়, তা নিয়ে।”
দেশের অভ্যন্তরে বাঁধ দেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাঁধের মাধ্যমে নাকি জলাধারের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণ করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
দেশে নদী খননের আগে নদীগুলো দখলমুক্ত করার কথাও বলেন তিনি। এসব নদীতে দখলদারদের অনেক বড় বড় স্থাপনা আছে, তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যহীনভাবে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা হবে বলেও জানান অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা।