বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় বাস ও কভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে চালকসহ চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সাতজন। তাদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোররাতে উপজেলার বেতগাড়ী এলাকার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- কভার্ডভ্যানচালক বরিশালের হিজলা উপজেলার মো. হৃদয় (২২), তার বোন নীলফামারীর ডোমার উপজেলার নতুনপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী জেসমিন (৩৫), বগুড়া সদরের সূত্রাপুর এলাকার শামীম হাসান (৪৫) ও বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে আব্দুল হান্নান।
আহতরা হলেন- নওগাঁ সদরের মো. শাওন হোসেন (৩০), মো. বাবুল মিয়া (৩৫), বরিশালের হিজলার মো. আলিফ (৩৫), বগুড়া সদরের মো. রেজাউল করিম (৪৫), কাহালু উপজেলার মো. সুজন মিয়া (৩৫), শেরপুর উপজেলার মোহাম্মদ সৈকত (১৮) ও রংপুরের ডিমলা উপজেলার মো. অমিত (১০)।
দুর্ঘটনায় হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে বগুড়ার ছিলিমপুর মেডিকেল ফাঁড়ির পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী উপপরিদর্শক (টিএএসআই) লালন হোসেন জানান, নিহতদের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আহতদের প্রায় সবাই মাথা, হাত, পা আর বুকে আঘাত পেয়েছেন বলে জানান টিএএসআই লালন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, সোমবার শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের একটি বাস ঢাকা থেকে আসছিল। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বেতগাড়ী এলাকায় নীলফামারী থেকে আসা কভার্ড ভ্যানটির সঙ্গে এর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ওসি আব্বাস আলী জানান, বাসটি নওগাঁ যাচ্ছিল। আর কভার্ডভ্যান ছিল ঢাকার পথে। তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে বাসটির সামনের অংশ পুরোপুরি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই কভার্ড ভ্যানের চালক, তার বোনসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা আব্বাস আলী জানান, বাস ও কভার্ডভ্যান দুটিই এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।