লা লিগায় উড়ছে বার্সেলোনা। নতুন কোচ হান্সি ফ্লিকের অধীনে তারা অপ্রতিরোধ্য। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) গেতাফের বিপক্ষে পেয়েছে ১-০ গোলের জয়। তাতে চলতি লা লিগায় সাত ম্যাচের সাতটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল বার্সেলোনা।
কাতালান ক্লাবটির কোচ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচেই হেরেছেন ফ্লিক। সেটি চ্যাম্পিয়নস লিগে। তবে লা লিগার প্রসঙ্গে এলে এখানে তিনি শতভাগ সফল। মৌসুমের প্রথম সাত ম্যাচেই জয় পেয়েছেন ফ্লিক। এই যাত্রায় স্পেনের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতায় অভিষেক মৌসুমের পারফরম্যান্স বিবেচনায় এরই মধ্যে জার্মান কোচ নতুন উচ্চতায় বসেছেন।
তার আগে অভিষেক মৌসুমে প্রথম সাত ম্যাচের সাতটিতেই জয় পেয়েছিলেন তিন কোচ। তারা হলেন- হোসে মানুয়েল দিয়াস (স্পোর্তিং গিহন, ১৯৭৯), ভান্দেরলেই লাক্সেমবুর্গো (রিয়াল মাদ্রিদ, ২০০৫) ও জেরার্দো ‘তাতা’ মার্তিনো (বার্সেলোনা, ২০১৩)।
সাম্প্রতিক সময়ে বার্সেলোনার যে পারফরম্যান্স, সেই তুলনায় ঘরের মাঠে কষ্টেই জিততে হয়েছে তাদের। কারণ আগের ম্যাচে ভিয়ারিয়ালকে তাদেরই মাঠে ৫-১ গোলে উড়িয়ে এসেছে কাতালানরা। আর এই ম্যাচে ১৯তম মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন রবার্ত লেভানদোভস্কি।
অবশ্য ‘পছন্দের একাদশের’ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বাইরে রেখে দল সাজিয়েছিলেন ফ্লিক এরপরও ম্যাচের পূর্ণ আধিপত্য ছিল তাদের। বলের দখল ছিল প্রায় ৮০ শতাংশ। সুযোগও তৈরি করেছে বেশ কয়েকটি। শুধু একটির বেশি গোল পাওয়া হয়নি।
লেভানদোভস্কির ওই গোলটাই পূর্ণ ৩ পয়েন্ট এনে দিয়েছে বার্সেলোনাকে। তাতে লা লিগার শীর্ষস্থানটা সুসংহত করেছে ৭ খেলায় পূর্ণ ২১ পয়েন্ট নিয়ে। যার গোলে জয় এসেছে, সেই লেভানদোভস্কির প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ ফ্লিক।
তার মতে, পোলিশ স্ট্রাইকারই সেরা, “আমার চোখে গত এক দশকের সেরা নাম্বার নাইন সে। ওর কাজটা গোলের সামনে, বক্সে; যেটি ও দারুণভাবে করে যাচ্ছে। খেলোয়াড়রা তাকে শেষ পাসটি দেয় এবং সে গোল করে।”