চোটের জন্য বিরতির পর মাঠ ছেড়ে যান রদ্রি। তাতেও আটকায়নি স্পেনের বিজয় যাত্রা। টানা সাত জয়ে তারা জিতল এবারের ইউরো। ফাইনালে ২-১ গোলে হারাল ইংল্যান্ডকে।
স্পেনের ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানোয় গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল রদ্রির। এরই স্বীকৃতি হিসেবে তিনি জিতলেন ইউরোর সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। উয়েফা তার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছে, ‘‘মাঠের সবখানে ছিলেন রদ্রি’’।
স্পেনের লামিনে ইয়ামাল জিতেছেন সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার। এবারের ইউরোয় সদ্য ১৭ বছরে পা দেওয়া ইয়ামালের অ্যাসিস্ট ৪টি, গোল ১টি।
গোল্ডেন বুট জিতেছেন ৬ জন। সমান ৩টি করে গোল করায় পুরস্কারটা ভাগাভাগি করে নিবেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন, স্পেনের দানি নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাজে, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা ও স্লোভাকিয়ার ইভান শ্রাঞ্জ। ইউরোর ইতিহাসে এবারই প্রথম গোল্ডেন বুট পেলেন এত বেশি জন।
এর আগে সর্বোচ্চ পাঁচজন একসঙ্গে গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন ইউরোর প্রথম আসরে ১৯৬০ সালে। সেবার সর্বোচ্চ দুটি করে গোল ছিল ফ্রান্সের ফ্রান্সিওস হিউত্তে, সোভিয়েত ইউনিয়নের ভ্যালেন্তিন ইভানভ ও ভিক্টর পোনেদেলনিক, যুগোস্লোভিয়ার দ্রাজান জারকোভিচ আর মিলান গালিচের।
গত ইউরোয় পর্তুগালের ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো আর চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক শিক করেছিলেন সমান ৫টি করে গোল। তবে ৫ গোলের সঙ্গে একটি অ্যাসিস্ট করায় গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন রোনালদো। তখন নিয়মটাই এমন ছিল।
গোলের সংখ্যা সমান হলে প্রথমে দেখা হতো কে বেশি অ্যাসিস্ট করেছেন। সেখানেও সমান থাকলে বিবেচনা করা হত কে কম সময় খেলেছেন। ২০১২ ইউরোয় ৩টি করে গোল ছিল স্পেনের ফার্নান্দো তোরেস, জার্মানির মারিও গোমেজ ও রাশিয়ার অ্যালান জাগোয়েভের। তোরেস অন্য দুজনের চেয়ে কম সময় খেলায় জিতেন গোল্ডেন বুট।
২০০৮ ইউরোর আগে সবচেয়ে বেশি গোল যতজনই করতেন, গোল্ডেন বুট পেতেন সবাই। উয়েফা এবার ফিরিয়ে এনেছে আগের নিয়মটাই।