টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব রঘু রাম এবং রিয়েলিটি শো ‘রোডিজ’ হয়ে উঠেছিল একে অপরের সমার্থক। রোডিজে রঘুর সোজাসাপ্টা, তীর্যক এবং চাছাছোলা কথাবার্তা তাকে এই শো-টির অন্যতম আকর্ষণে পরিণত করে। তবে ছয়টি সিজনের পর, রঘু এবং তার ভাই রাজীব লক্ষ্মণ এই শো থেকে বিদায় নেন। জানা যায়, এমটিভি কর্তৃপক্ষের অযাচিত হস্তক্ষেপই নাকি তাদের প্রস্থানের কারণ।
‘আনট্রিগার্ড উইথ আমিনজ্যাজ’ শিরোনামের পডকাস্টে এমটিভির রিয়েলিটি শো ‘রোডিজ’ ছেড়ে আসার কারণ জানান রঘু রাম।
তিনি বলেন, “যখন আপনি স্টার হন, তখন দর্শকের চাহিদা পূরণ করার চাপ বেড়ে যায়। আমারও তাই হয়েছিল। এজন্য আমি ‘রোডিজ’ ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমাদের কাজে খুব বেশি হস্তক্ষেপ হচ্ছিল। আমাদের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে চিৎকার চেচামেচি করতে বলা হচ্ছিল। বিষয়টা হলো, হয় আপনাকে ওদের সুরে নাচতে হবে, নয়তো ছেড়ে দিতে হবে। আপনি যখন সফল তখন কিন্তু আপনি আর নিজের থাকেন না। আপনি তাদের হয়ে যান। এটা সমস্যা।”
‘রোডিজ’ থেকে রঘু বের হয়ে আসার পর শোটির বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটেছে। পডকাস্টে রঘু সেগুলো নিয়েও কথা বলেন।
এ বিষয়ে রঘু বলেন, “রোডিজ দেখলে বুঝে যাবেন এটা আর আমার সেই চেনা রোডিজ নয়। দেখেন, এটা এখন তাই হয়েছে কর্তৃপক্ষ যেটা চেয়েছিল।”
দর্শকরা এখন আর এই শো এর সঙ্গে আগের মতো সংযোগ অনুভব করেনা বলেও মনে করেন রঘু রাম।
পডকাস্টে রঘু জানান এমটিভির ওই শো-তে তার যে ব্যক্তিত্ব দেখা যেত, ওটা নাকি তার ব্যক্তিগত সংগ্রাম থেকেই উঠে আসা। অন-স্ক্রিন ব্যক্তিত্ব অনেকটাই তার ব্যক্তিগত সংগ্রাম থেকে এসেছে।
তিনি বলেন, “আমি তখন মানসিকভাবে খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে ছিলাম। ফলে ‘রোডিজ’-এ তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে যেত। আমি অনুভব করতাম যে সমাজ আমাকে মিথ্যা বলেছে।”
পডকাস্টে রঘু রাম ‘রোডিজ’- এর নানা দিক নিয়ে কথা বলেন। এতে উঠে আসে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে পর্দার পেছনের নানা গল্প।