রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)’ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দ্বিতীয় রিট্রিট সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ মনোভাব ব্যক্ত করেন মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বাসস জানিয়েছে, রিট্রিট সম্মেলনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাদের আগের আলোচনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, মিয়ানমার দীর্ঘদিন ধরে বলছে, তারা দেশটি থেকে জোরপূর্বক উদ্বাস্তু হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত। কিন্তু এটি কার্যকর হওয়ার কোনও চিহ্ন এখনও পরিলক্ষিত হয়নি।
“প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলেই কেবল মিয়ানমার তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নজীর রাখতে পারে” উল্লেখ করে বিষয়টির ওপর তিনি গভীর গুরুত্বারোপ করেন।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুই এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া দেন এবং তার সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরুর ইচ্ছার কথা জানান।
মোদী সঙ্গে বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাক্ষাত
রিট্রিটের শেষ দিনে শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন বিমসটেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
এ দিন সকালে নয়াদিল্লির কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন পঞ্চবটিতে বাংলাদেশের হাছান মাহমুদসহ রিট্রিটে অংশ নেওয়া ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ও নেপালের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাতে অংশ নেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কুশলাদি ও সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় শেষে ফটোসেশনে অংশ নেন।
দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ৭টি দেশের আঞ্চলিক জোট ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক)’ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই রিট্রিটে বিমসটেক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কার্যকর অবস্থান তুলে ধরার পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গেও সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন। সেখানে তিনি নিত্যপণ্য আমদানি সুবিধা অব্যাহত রাখা ও তিস্তা প্রকল্পের জন্য কারিগরী দল পাঠানোর বিষয়সহ দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেন।