ইউক্রেন ০ : ০ বেলজিয়াম
স্লোভাকিয়া ১ : ১ রোমানিয়া
মৃত্যুকূপ হয়ে পড়েছিল গ্রুপ ‘ই’। প্রথম দুই ম্যাচ শেষে চার দলেরই পয়েন্ট সমান ৩! চার দলই জিতেছিল একটি করে ম্যাচ, হেরেছিল অপরটিতে। আজ শেষ রাউন্ডের ম্যাচে শেষে যেমন শেষ ষোলোয় যাওয়ার সুযোগ ছিল চার দলের তেমনি বাদ পড়ার শঙ্কাতেও ছিল সবাই।
রোমাঞ্চকর সেই শেষ রাউন্ডের পর নকআউটের টিকিট পেল রোমানিয়া,বেলজিয়াম ও স্লোভাকিয়া। আর বাদ পড়ে গেল ইউক্রেন। স্লোভাকিয়া শেষ ষোলোয় গেল সেরা তৃতীয় দলের একটি হয়ে।
সমান ৩ ম্যাচ শেষে ৩ দলের পয়েন্ট সমান ৪। গোল গড়ে শীর্ষে রোমানিয়া, দুইয়ে বেলজিয়াম, তিনে স্লোভাকিয়া আর চারে ইউক্রেন।
আজ স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শেষ ষোলোর টিকিট পায় রোমানিয়া। ২০০০ সালের পর প্রথমবার মর্যাদার কোন টুর্নামেন্টের নকআউটে তারা। রোমানিয়ার বিপক্ষে অনদ্রেজ দুদার গোলে ২৪ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল স্লোভাকিয়া। ৩৭ মিনিটে রাজভান মারিনের পেনাল্টিতে সমতা ফেরায় রোমানিয়া। এই একটা গোলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন তারা।
গোল গড়ে পিছিয়ে থাকায় বেলজিয়ামের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চটা চেষ্টা করে খেলেছিল ইউক্রেন। আর বিবর্ণই ছিলেন বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্মের কেভিন ডি ব্রুইনা, রোমেলু লুকাকুরা। তারা পোস্ট আগলে খেলায় দুয়ো দিয়েছেন বেলজিয়ামের সমর্থকরাই। তবে ফুটবল তো শেষ পর্যন্ত গোল আর অঙ্কের খেলা। সেই খেলাতেই বাদ পড়ে গেল ইউক্রেন। ইউরোর ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ৪ পয়েন্ট পেয়েও গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে গেল তারা।
গ্রুপের অপর ম্যাচের ফল বুঝে শেষ ১০ মিনিট গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ইউক্রেন। ৮৩ মিনিটে রুসলান মালিনভস্কি কর্নার থেকে প্রায় করেই ফেলেছিলেন সরাসরি গোল। বেলজিয়ান গোলরক্ষক কাস্তেলস শেষ বেলায় কোনও রকমে ঠেকান ‘অলিম্পিক গোল’ নামে পরিচিত এই প্রচেষ্টা।
ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটেই ডি-বক্সে ঢুকে ভালো পজিশনে থেকেও সুদাকভ গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নিলে হতাশ হতে হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে। গোলের জন্য ১৩টি শট পোস্টে নিয়ে ৪টি লক্ষ্যে রেখেও সফল হয়নি ইউক্রেন। বেলজিয়ামের সমর্থকরা তো আর এমনি দুয়ো দেননি দলকে।
সব দলের পয়েন্ট সমান হলে কি হবে?
চার দলেরই পয়েন্ট সমান হলে সবার আগে দেখা হবে গোল গড়। অর্থাৎ কোন দল বেশি গোল করেছে আর কোন দল বেশি গোল হজম করেছে। এটাও যদি সমান হয় তখন দেখা হবে কোন দলের খেলোয়াড়রা বেশি হলুদ বা লাল কার্ড দেখেছেন।
যদি সেখানেও সমতা থাকে তখন দেখা হবে কোচিং স্টাফের কেউ কার্ড দেখেছেন কিনা। যদি সেখানেও সমতা থাকে তাহলে বাছাইপর্বের সময় কোন দলের র্যাঙ্কিং কত ছিল সেটা বিবেচনা করা হবে।
এবার গ্রুপ সি’তে সমান ৩ পয়েন্ট ও গোল গড় (০) ছিল ডেনমার্ক ও স্লোভেনিয়ার। দুই দলের সমান ৬ জন করে দেখেছিলেন হলুদ কার্ড। কিন্তু স্লোভেনিয়ার সহকারী কোচ মিলভোজে নোভাকোভিচ হলুদ কার্ড দেখায় দুই নম্বরে থেকে শেষ ষোলোয় চলে গেছে ডেনমার্ক।
শেষ ষোলোর প্রতিপক্ষ
গ্রপ রানার্সআপ হিসেবে নকআউটে যাওয়ায় বেলজিয়াম শেষ ষোলোতো মুখোমুখি হবে হট ফেবারিট ফ্রান্সের। রোমানিয়ার প্রতিপক্ষ ঠিক হয়নি এখনও। তবে ইতালি খেলবে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে আর জার্মানির প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক। অন্য দলগুলোর প্রতিপক্ষ ঠিক হবে গ্রুপ ‘এফ’ এর ম্যাচ শেষ হওয়ার পর।