টনি ক্রুসকে বলা হতো ‘ওয়েটার’। যেভাবে পাসের ফোয়ারা ফোটাতেন জার্মানি ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই তারকা, তাতেই হয়ে যায় এমন নাম। ক্রুসের অবসরের পর বর্তমান প্রজন্মের সেরা প্লেমেকার কারা, এ নিয়েই অঙ্ক কষেছে সিআইইএস ফুটবল অবজারভেটরি।
অ্যাসিস্ট, গোলের দ্বিতীয় অ্যাসিস্ট, সুযোগ তৈরি করা পাস-এসব বিবেচনায় ১০০ পয়েন্ট রেখেছিল তারা। তাতে সর্বোচ্চ ৯৯.৪ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে রয়েছেন পিএসজির ২০ বছর বয়সী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেস।
বেনফিকা থেকে ৬০ মিলিয়ন ইউরোয় এই মৌসুমে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন নেভেস। এর পাশাপাশি তার চুক্তিতে রয়েছে ১০ মিলিয়ন ইউরোর বিভিন্ন বোনাসও। ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানে এরই মধ্যে ৬টি অ্যাসিস্ট করেছেন বেনফিকা মাতানো পর্তুগীজ এই প্লেমেকার।
ইউরোপিয়ান শীর্ষ পাঁচ লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৪.৩ পয়েন্ট চেলসির কোল পালমারের। ম্যানসিটি থেকে চেলসিতে যোগ দেওয়ার পর তার অ্যাসিস্ট ১৯টি। এই মৌসুমে নিকোলাস জ্যাকসনের সঙ্গেও গড়েছেন দারুণ জুটি। কিছুদিন আগে প্রিমিয়ার লিগে বিরতির আগে ৪ গোল করে ইতিহাসও গড়েছেন পালমার।
এই তালিকার তিন নম্বরে আছেন রোমানো স্মিড। ওয়ের্ডার ব্রেমনের এই অস্ট্রিয়ান প্লেমেকারের পয়েন্ট ৯০.৯। স্পেনের ইউরো জয়ের অন্যতম নায়ক ১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার তরুণ এই তারকা ৯০.৩ পয়েন্ট নিয়ে আছেন চারে। ৯০.২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে ভিয়ারিয়ালের অ্যালেক্স বায়েনা। সেরা দশে প্রিমিয়ার লিগের পালমারের পরে আছেন কেবল মো সালাহ। ৮৭.১ পয়েন্ট নিয়ে সালাহর অবস্থান ৯-এ।
সিআইইএস ফুটবল অবজারভেটরি অঙ্ক কষেছে বিশ্বব্যাপী ৬৫টি লিগ নিয়ে। সেখানেও ৯৯.৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে জোয়াও নেভেস। বিস্ময়করভাবে দুইয়ে আছেন লিওনেল মেসি।
এমএলএসের ইন্টার মায়ামির এই তারকার পয়েন্ট ৯৮.২। এই মৌসুমে মায়ামির হয়ে ১৯ ম্যাচে মেসির গোল ১৭টি আর অ্যাসিস্ট ১২টি।