জাতীয় দল থেকে রোমান সানার অবসরের সিদ্ধান্তকে আবেগের বলছেন আর্চারি ফেডারেশনের সভাপতি লেফট্যানান্ট জেনারেল (অব.) মইনুল ইসলাম।
হঠাৎ করে এভাবে রোমানের অবসরের সিদ্ধান্তকে মানতে পারছেন না তিনি , ‘ সে একটা চিঠি দিয়েছে ফেডারেশনে। হয়তো আবেগের বশে এটা করেছে। তবে আস্তে আস্তে আবেগ কমে আসে এক সময়। এসব বিষয়ে তাই সময় নিয়ে সব কিছু দেখা ভালো। এজন্য বিষয়টা নিয়ে এখনও আমরা মিটিংয়ে বসিনি। ওর পারফরম্যান্স তো এমনিতেই কমে আসছে। কিন্তু সে বলছে তাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোথায় চাপ, সেটাই তো আমরা বুঝতে পারছি না।’
সেই সঙ্গে যোগ করেন, “ তার স্কোর যদি খারাপ হয় সেটাই তো তার জন্য বড় চাপ। আমি তো চেহারা দেখে তাকে খেলায় না। তাকে খেলানো হয় স্কোর দেখে। এখানে আবেগের কোনও জায়গা নেই।”
গত ২০-২৫ ফেব্রুয়ারি ইরাকে অনুষ্ঠিত হয়েছে এশিয়া কাপ আর্চারির স্টেজ ওয়ান প্রতিযোগিতা। সেই দল থেকে বাদ পড়েছিলেন রোমান। এরপর তিনি টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের জাতীয় দলের ক্যাম্প ছেড়ে চলে গেছেন গাজীপুর আনসার একাডেমিতে।
হতাশা আর অভিমান থেকেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া রোমানের। আসলে সতীর্থ আর্চারের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে ২০২২ সালে রোমানকে ২ বছরের জন্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব রকমের প্রতিযোগিতা থেকে নিষিদ্ধ করেছিল ফেডারেশন। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ পরে কমিয়ে আনে ফেডারেশন কর্মকর্তারা। যদিও সেই ধাক্কা সামলে আবারও তির-ধনুকে নজর দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ইদানিং খেলাতেও মন দিতে পারছিলেন না। তাছাড়া ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীনের সঙ্গেও সম্পর্ক খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না রোমানের। এসব বিষয়েই মানসিকভাবে চাপে রয়েছেন রোমান।
রোমানের এমন হঠাৎ অবসরের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দীনের সঙ্গে। কিন্তু একবার মুঠোফোনে কথা বলেন তিনি। নেটওয়ার্ক গোলযোগে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর তার সঙ্গে কথা বলা যায়নি।