বড় অঘটনই ঘটেছে ইউরোয়। র্যাঙ্কিয়ে পিছিয়ে থাকা স্লোভাকিয়া হারিয়ে দিয়েছে বেলজিয়ামকে। রোমেলু লুকাকুর দুটি গোল বাতিল না হলে ফলটা অন্যরকমও হতে পারত। এর একটি গোল বাতিল হয়েছে ক্রিকেটের প্রযুক্তি স্নিকোমিটার ব্যবহারে। এবারের ইউরোতে স্নিকোর ব্যবহার এবারই প্রথম।
ম্যাচের শেষ দিকে বল নিয়ে যাওয়ার সময় হাতে লাগে লুইস ওপেনডার। বলের গতিপথ খানিকটা বদলে গিয়েছিল তাতে। তাই বক্সে ঢুকতে সুবিধা হয়েছিল তার। ওপেনডা বল বাড়ান লুকাকুর দিকে। বক্সে দাঁড়িয়ে থাকা লুকাকু গোল করেন বাঁ পায়ের শটে। ভিএআরে স্নিকো প্রযুক্তিতে দেখা যায় ওপেনডা হ্যান্ডবল করেছিলেন।
রেফারি উমুট মেলার এরপরই বাতিল করেন লুকাকুর গোল। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ইংলিশ কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকার গালি দিয়েছেন ছাপার অযোগ্য একটি শব্দে।
তবে ওপেনডা মেনে নিয়েছেন তার হাতে বল লাগাটা, ‘‘আমি নিজের অ্যাসিস্টে খুশি ছিলাম। ছবি দেখার পর বুঝতে পারি বল আমার হাতে লেগেছিল।’’
ইউরোয় যে বল ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে রয়েছে একটি বিশেষ ধরনের চিপ। সেই চিপের সাহায্যে সব তথ্য এসে পৌঁছয় ভিএআরের দায়িত্বে থাকা দলের কাছে। তারা রেফারিকে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন সিদ্ধান্ত নিতে।
স্নিকোমিটার ক্রিকেটে ডিআরএস-এ ব্যবহার করেন আম্পায়ারেরা। এলবিডব্লিউ বা ক্যাচের ক্ষেত্রে বল ব্যাটে লেগেছে না প্যাডে, তা এই প্রযুক্তিতে বোঝা যায়।
এজন্য স্নিকোর ব্যবহার নিয়ে আপত্তি করেননি বেলজিয়ামের কোচ ডমিনিকো টেডেস্কো, ‘‘আমি তাদের বিশ্বাস করি। তারা যদি বলে এটা হ্যান্ডবল তাহলে হ্যান্ডবল।’’