ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ছিলেন না ক্রিস্তিয়ানো রোনারদো। পর্তুগালও জিতে পারেননি। বেঞ্চে বসে দলের হার দেখা এই উইঙ্গার ফিরতেই আবার চাঙ্গা পর্তুগাল। একাদশে ফিরে জোড়া গোল করেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আয়ারল্যান্ডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ইউরোর প্রস্তুতি সেরেছে পর্তুগিজরা।
দেশের মাটিতে সম্ভাব্য শেষ ম্যাচ খেললেন রোনালদো। জার্মানির ইউরো চ্যাম্পিয়ন শেষেই নাকি আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলবেন তিনি। আবারও এমন গুঞ্জন আছে, ফুটবল থেকেই অবসরে যেতে পারেন ৩৯ পেরিয়ে যাওয়া এই তারকা! আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পারফরম্যান্সের পর এই গুঞ্জন উড়ে যাওয়ার কথা।
রোনালদো পায়ে এখনও সেই পুরনো জাদু। বয়সকে বশে রেখে প্রতিনিয়ত আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন ফুটবল মাঠে। যার সবশেষটি আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। পর্তুগালের এস্তাদিও মিউনিসিপাল দে আভেইরোতে ১০ মিনিটের মধ্যে ২ গোল করেছেন তিনি।
৫০তম মিনিটে করা গোলটি ছিল দেখার মতো। বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের বুলেট শটে জাল কাঁপান রোনালদো। আইরিশ গোলকিপারের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ৬০ মিনিটে পেয়ে যান নিজের দ্বিতীয় গোল। ডিয়েগো জোতার ক্রস থেকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোল এখন ১৩০টি।
প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলের হয়ে টানা ২১ পঞ্জিকাবর্ষে গোলের কীর্তি গড়লেন রোনালদো। জাতীয় দলে ২০০৩ সালে অভিষেকের পর প্রথম গোল পান ২০০৪-এ। এরপর থেকে গোল করলেন টানা ২১ বছর, যা পারেননি আর কেউ।
৩৯ বছর বয়সেও রোনালদোর এই পারফরম্যান্সে বিস্মিত সতীর্থ রুবেন নেভেস, “অতুলনীয়। বিস্ময়কর। তার (রোনালদো) সঙ্গে খেলার অনুভূতি কেমন, আমি ভাষায় বর্ণনা করতে পারব না। আরও দুটো গোল হলো তার। ইউরোর আগে তার প্রস্তুতিটা দারুণ হলো, ফলে প্রত্যাশাও আরও বাড়ল।”
অবশ্য পর্তুগালের গোলের শুরুটা করেছিলেন জোয়াও ফেলিক্স। ব্রুনো ফের্নান্দেসের কাছ থেকে বল নিয়ে ডি বক্সের ভেতর ঢুকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। তার লক্ষ্যভেদের পরপরই গোল পেতে পারতেন রোনালদো। কিন্তু তার বুলেট গতির ফ্রি কিক পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়।