Beta
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫

অযোধ্যার রাম মন্দিরের ছাদ চুইয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি

রাম মন্দির ছবি
[publishpress_authors_box]

ভারতের অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহের ছাদ চুইয়ে পড়েছে বৃষ্টির পানি। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য্য সত্যেন্দ্র দাসের বরাতে বুধবার এ খবর জানিয়েছে পিটিআই।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এক অনুষ্ঠানে গত ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। প্রায় ১৮০০ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে মন্দিরটি। এর নির্মাণকাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি।

সোমবার পুরোহিত আচার্য্য সত্যেন্দ্র দাস জানান, বৃষ্টির পানি মন্দিরের গর্ভগৃহের ভেতরে, ঠিক যেখানে পুরোহিত রাম মুর্তির সামনে বসেন তার উপরের ছাদের ঠিক মাঝখান দিয়ে ঝরছিল।

তিনি পিটিআইকে বলেন, “দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলীরা রাম মন্দির নির্মাণ করেছেন। গত ২২ জানুয়ারি মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়বে তা কেউ জানত না। বিশ্বখ্যাত এই মন্দিরের ছাদ ফুটো হওয়া আশ্চর্যজনক। এটা কেন ঘটেছে?”

সত্যেন্দ্র দাস মন্দির নির্মাণে অবহেলার অভিযোগ তুলে বলেন, শনিবারের বৃষ্টির পর মন্দির প্রাঙ্গন থেকে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। তিনি মন্দির কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে রাম মন্দির নির্মাণ কমিটির চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেছেন যে, ছাদের ওই অংশটি আকাশের দিকে উন্মুক্ত ও আচ্ছাদিত না থাকায় ছাদে ফুটো দেখা দিয়েছে।

পিটিআইকে তিনি বলেন, “গুরু মণ্ডপ (হলরুম) আকাশের দিকে উন্মুক্ত থাকায় এটি হওয়া স্বাভাবিক। প্রথম তলায় কাজ চলছে বলে পাইপ থেকে কিছুটা পানি পড়তে দেখেছি। কাজ শেষ হলে পাইপ বন্ধ করে দেওয়া হবে। গর্ভগৃহে পানি নিষ্কাশনের কোনও ব্যবস্থা নেই।”

তিনি মন্দিরের নকশা বা নির্মাণে কোনও ত্রুটি থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

নৃপেন্দ্র মিশ্র আরও বলেন, “খোলা মণ্ডপগুলোতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করতে পারে। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং নগর স্থাপত্যবিদ্যার নিয়ম অনুসারে এটিকে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।”

পিটিআই জানিয়েছে, অযোধ্যা শহরের নতুন নির্মিত অংশে ভারি বৃষ্টির পর রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে।

উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের সভাপতি অজয় রায় মন্দির নির্মাণে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন।

তিনি বলেন, “বিজেপি অযোধ্যাকে দুর্নীতির কেন্দ্রস্থলে পরিণত করেছে। শুধুমাত্র নির্বাচনী সুবিধা পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে দ্বিতীয় মানের মন্দির নির্মাণ করেছে।”

দক্ষিণ ভারতের ঐতিহ্যবাহী নাগর রীতি অনুসরণ করে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছে। ১৬১ ফুট উঁচু মন্দিরটি লম্বায় ৩৮০ ফুট, চওড়ায় ২৫০ ফুট। মন্দিরটি তিন তলা বিশিষ্ট, প্রতিটি তলা ২০ ফুট উঁচু।

এতে মোট ৩৯২টি স্তম্ভ এবং ৪৪টি দরজা রয়েছে। পাঁচটি মণ্ডপ বা হল রয়েছে। এগুলো নাম হল- নৃত্য মণ্ডপ, রং মণ্ডপ, সভা মণ্ডপ, প্রার্থনা এবং কীর্তন মণ্ডপ। মন্দিরটিতে প্রবেশপথ পূর্বমুখী। ভক্তদের সিংহ দুয়ার দিয়ে সিড়ির ৩২ ধাপ অতিক্রম করে এতে ঢুকতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত