ফুটবলের নির্বাচন নিয়ে যাবতীয় আলোচনা এক পাশে সরিয়ে হঠাৎ নীরব হয়ে গেলেন তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া এই সংগঠক এখন নির্বাচন নিয়ে কোনও কথাই বলতে চান না। তাহলে তরফদারের পরিণতি কি আগের মতোই!
গত ১৫ সেপ্টেম্বর তরফদার রুহুল আমিন সদলবলে ঢাকার এক হোটেলে গিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করার। বেশ কিছু সাবেক তারকা ও সংগঠক তার সঙ্গে ছিলেন সেদিন। উপস্থিত ছিলেন সাবেক ফুটবল তারকা ও ঢাকা মহানগর বিএনপির (উত্তর) সদস্য সচিব আমিনুল হকও। তরফদারকে সমর্থন করে তিনি সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন, “ক্রীড়াঙ্গনকে রাজনীতিমুক্ত রাখবো বলেই তরফদার সাহেবকে সমর্থন করছি। তাছাড়া তিনি ফুটবলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, কিন্তু ২০২০ সালে বাফুফে নির্বাচনকে ঘিরে তাকে চাপে ফেলা হয়েছিল।”
ওই ঘোষণার পর থেকে তরফদার রুহুল আমিন বেশ সরব ছিলেন ফুটবল নিয়ে। চার বছর আগে নির্বাচন করতে গিয়ে তার ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে যে টানাটানি শুরু হয়েছিল, সেগুলোর বর্ণনা করছিলেন। নির্বাচন জিতলে তিনি কী কী করতে চান সেসবও বলছিলেন সবিস্তারে। রহস্যজনকভাবে গত কয়েকদিন ধরে আর বলছেন না।
এদিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর বাফুফের দুইবারের সহ সভাপতি তাবিথ আউয়াল এবার বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাতে তরফদার বনাম তাবিথের দ্বৈরথ দাঁড়িয়ে গেছে আসন্ন ২৬ অক্টোবরের বাফুফে নির্বাচনে। স্বাভাবিকভাবে এ নিয়ে তরফদারের নির্বাচনী ভাবনা থাকবে, কথা থাকবে। বাস্তবে তার কিছুই দেখা যাচ্ছে না।
বাফুফে নির্বাচন নিয়ে তরফদার রুহুল আমিনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “ফুটবলের নির্বাচন এলেই যেন আমার ওপর ঝড় বয়ে যায়। এখন নির্বাচন নিয়ে কিছু বলতে চাই না।” তার ওপর কী রকম ঝড় বইছে, এটা স্পষ্ট করেননি তিনি। ২০২০ সালের নির্বাচনের মতো কিছু হচ্ছে কিনা সেটাও বলছেন না সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার।
নির্বাচনে তার প্যানেল সাজিয়েছেন কিনা, জিজ্ঞাসা করলে রুহুল আমিন এক সপ্তাহ চুপ থাকার ব্রত নিয়েছেন, “কৌশলগত কারণে আমি আগামী এক সপ্তাহ চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেখি একটু।” কেন চুপ থাকবেন বা কেউ চুপ থাকতে বলেছে কিনা সেটাও পরিষ্কার করছেন না তরফদার।
এদিকে তাকে সমর্থন দেওয়া উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব আমিনুল হককেও ঠিক আগের মতো জোরালোভাবে তরফদারের পক্ষে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না। বুধবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই তারকা দাবি করেছেন, “বিএনপি’র পক্ষ থেকে দুই জনের (তাবিথ ও তরফদার) কাউকে সমর্থন দেওয়া হয়নি।” অথচ বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।