Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪

পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা প্রশ্নে রুলের শুনানি ৩০ অক্টোবর

ss-highcourt-211024
[publishpress_authors_box]

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের শুনানি জন্য আগামী ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে হাই কোর্ট।  

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাই কোর্ট বেঞ্চ শুনানির এ দিন ঠিক করেছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের চাপে ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান এনে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংসদে পাস করে বিএনপি।

২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস হয় এবং ৩ জুলাই তা অনুমোদন দেন রাষ্ট্রপতি।

এই সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

এছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয় পঞ্চদশ সংশোধনীতে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৮ আগস্ট সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল চেয়ে আবেদন করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ড. তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জবিরুল হক ভুইয়া ও জারাহ রহমান।

পরদিন ১৯ আগস্ট এ আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে।

ওইদিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রেদওয়ানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল চেয়ে আবেদনে চারটি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। ওই দিন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া জানান, সংবিধানে একটি অনুচ্ছেদে বলা ছিল, সংবিধানের অনেকগুলো অনুচ্ছেদের সংশোধনী করতে হলে গণভোটের দরকার হবে। কিন্তু গণভোট না করে পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়, যা অসাংবিধানিক।

এ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের আইন প্রণয়নের ক্ষমতাকে খর্ব করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত