সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। বৃহস্পতিবার নেপালের বিপক্ষে ড্র করলেও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতো মিরাজুল ইসলামরা। কিন্তু নেপালের কাছে ২-১ গোলে হেরে বাংলাদেশ ‘এ গ্রুপের রানার্সআপ হয়েছে। স্বাগতিকরা দুই ম্যাচ জিতে গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনাল খেলবে।
কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচ শুরুর ১৯ মিনিটে দুই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ১৭ মিনিটে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের ভুলে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ। নেপালের রক্ষণ থেকে একটা লং বল উড়ে আসে প্রায় মাঝ মাঠে। শ্রাবণও বক্স ছেড়ে মাঝ মাঠের কাছাকাছি ছিলেন। বল ঠিকঠাক মতো দুই পায়ে জমাতে পারেননি তিনি। বল পায়ে রেখে থ্রু দেওয়ার আগেই সামির তামাং দ্রুত ছিনিয়ে নিয়ে ফাঁকা পোস্টে সহজেই জড়িয়ে দেন জালে। পেছন পেছন শ্রাবন দৌড়েও অসহায় চোখে দেখেছেন দলের পিছিয়ে পড়া!
দুই মিনিট পর নেপাল ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয়। অভিনাশের ডান প্রান্তের ক্রসে নিরঞ্জন ধামি দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে তড়িৎ গতিতে পা চালিয়ে দেন। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে ৫টি কর্নার আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। তার পরেও গোল পায়নি। ২৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে চন্দন রায়ের জোরালো শট গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন।
৩১ মিনিটে বাংলাদেশ দুজন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে। বাংলাদেশ অবশেষে সুফল পায় ৪২ মিনিটে। মিরাজুল ইসলামকে ফেলে দিয়েছিলেন দুই ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে মিরাজুল গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে জাল কাঁপিয়ে ব্যবধান কমিয়ে আনেন।
বিরতির পর বল দখলে রেখে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেও মারুফুল হকের দল সফল হতে পারেনি। ৮৫ মিনিটে নোভার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। শেষ মিনিটে স্বাগতিকদের অবিনাশের ফ্রি-কিক শ্রাবণ প্রতিহত করে ব্যবধান বাড়তে দেননি। যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে বাংলাদেশের একটি চেষ্টা নেপালের গোলকিপার কোনমতে আটকে দেন।