Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বার্নাব্যুতে বার্সেলোনা ঝড়ে বিধ্বস্ত রিয়াল মাদ্রিদ

এল ক্লাসিকোতে জোড়া গোল করে বার্সেলোনার জয়ের নায়ক রবার্ত লেভানদোভস্কি। ছবি: বার্সেলোনা এক্স
এল ক্লাসিকোতে জোড়া গোল করে বার্সেলোনার জয়ের নায়ক রবার্ত লেভানদোভস্কি। ছবি: বার্সেলোনা এক্স
Picture of ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রীড়া ডেস্ক

[publishpress_authors_box]

দিনতিনেক আগের কথা। চ্যাম্পিয়নস লিগে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও ৫-২ গোলে জিতে মাঠ ছেড়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ওই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আবারও যখন ২ গোলে পিছিয়ে পড়ল, তখন কি রিয়াল সমর্থকদের মনে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটি দোলা দিয়েছিল? দিলে বরং যন্ত্রণার আগুনে পুড়ে ছারখার হতে হয়েছে। প্রতিপক্ষ যে এবার বার্সেলোনা। যাদের ঝড়ো পারফরম্যান্সে ঘরের মাঠেই লণ্ডভণ্ড রিয়াল মাদ্রিদ।

এল ক্লাসিকো ফিরল আপন রঙে। বার্সেলোনা ফিরল পুরনো ঢংয়ে। কাতালানদের প্রেসিং ও গতিশীল ফুটবলের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ রিয়ালের। বার্নাব্যুতে মাদ্রিদের ক্লাবকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বার্সেলোনা। জোড়া গোল করেছেন রবার্ত লেভানদোভস্কি। আর একবার করে জাল খুঁজে নিয়েছেন লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া।

ক্লাসিকো জয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে ব্যবধান আরও বাড়াল বার্সেলোনা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়ালের চেয়ে তারা এগিয়ে গেল ৬ পয়েন্টে। ১১ ম্যাচ শেষে হান্সি ফ্লিকের দলের পয়েন্ট ৩০। সমান ম্যাচে মাদ্রিদের ক্লাবের পয়েন্ট ২৪।

বার্সেলোনার ৪ গোলের সবক’টি দ্বিতীয়ার্ধে। বিরতিতে থেকে ঘুরে আসার পর লেভানদোভস্কির ২ মিনিটের ঝড়ে এলোমেলো রিয়াল। ৫৪ মিনিটে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন তিনি। মাঝমাঠ থেকে মার্ক কাসাদোর বাড়ানো থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে মাটি কামড়ানো শটে জাল খুঁজে নেন পোলিশ স্ট্রাইকার।

২ ‍মিনিট পর বার্নাব্যুকে স্তব্ধ করে আবারও গোল লেভানদোভস্কির। এবার হেডে লক্ষ্যভেদ করে বার্সেলোনার উৎসব আরও জমিয়ে তোলেন তিনি। আলেহান্দ্রো বালদের ক্রস ৩৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের মাথা ছুঁয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জড়িয়ে যায় জালে।

বার্সেলোনার গোল উৎসব তখনও থামেনি। ৭৭ মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন ইয়ামাল। রাফিনিয়ার পাস ধরে বাঁ প্রান্ত থেকে ডান পায়ের কোনাকুনি শটে রিয়াল গোলকিপার আন্দ্রেই লুনিনকে পরাস্ত করেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ৩ পিছিয়ে পড়ে ম্যাচ থেকে ‍পুরোপুরি ছিটকে যায় রিয়াল।

তবে তখনও থামেনি বার্সেলোনা ঝড়। চলতি মৌসুমে কাতালানদের অন্যতম সেরা অস্ত্র হয়ে ওঠা রাফিনিয়ার ম্যাজিক যে তখনও বাকি। ৮৪ মিনিটে রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। নিজেদের অর্ধ থেকে ইনিগো মার্তিনেস লম্বা পাস বাড়িয়েছিলেন রাফিনিয়ার উদ্দেশ্যে। এই ফরোয়ার্ড গতিতে লুকাস ভাসকেসকে হারিয়ে প্রথমে হেডে বল সামনে টানলেন, এরপর বক্সের ভেতরে গিয়ে আগুয়ান গোলকিপার লুনিনের মাথার ওপর দিয়ে বল ভাসিয়ে জালে জড়ালেন।

কিলিয়ান এমবাপ্পে নেমেছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম এল ক্লাসিকোতে। দর্শক হয়ে গোল দেখা ছাড়া তার কার্যকারিতা সামান্যই ছিল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বেশ কয়েকবার ভয় ছড়ালেও গোলমুখে খুব বেশি শট নিতে পারেননি। অন্যদিকে লেভানদোভস্কি-রাফিনিয়া-ইয়ামালদের ভীতিছড়ানো আক্রমণে বারবার কেঁপে উঠেছে রিয়ালের রক্ষণ। ৪-০ গোলের ফলই তো সেটির সাক্ষী দিচ্ছে!

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত