প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিতে দাপটে জিতেছে ভারত। দুমড়ে মুচড়েই দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে। শনিবার হায়দরাবাদে সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতলেই হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ।
অবশ্যই শান্তদের হোয়াইটওয়াশ করতে চায় ভারত। তবে শুধু এই সিরিজে ৩-০’তে জয় নায় ভারতের লক্ষ্য আরও বড়। সংবাদ সম্মেলনে সেই কথাই বললেন সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকাট, ‘‘সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। আমরা জানি ভারতীয় ক্রিকেটারদের মান কত ভাল। আমাদের দলে গভীরতা আছে। তাদের দিকে আরও নজর দিতে হবে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে আমরা এমন একটা দল তৈরি করতে চাই যারা সব ফরম্যাটে শক্তিশালী হবে।’’
টি-টোয়েন্টিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ছক্কা মারার সামর্থ্য নিয়ে জিজ্ঞেস করলে বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ নিক পোথাস তুলে ধরেছিলেন দুই দলের খেলোয়াড়দের ওজনের পার্থক্য, ‘‘একজন যদি ৯৫-১০০ কেজি ওজনের হয় আর আরেকজন যদি হয় ৬৫ কেজি, তাহলে একজন তো বেশি দূরে বল পাঠাবেই। আইপিএল খেলোয়াড়দের তৈরি করে দেয় আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন্য।’’
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটিতে ভারতীয়রা হাঁকিয়েছেন ২২ ছক্কা, বাংলাদেশ কেবল ৮টি। বাংলাদেশের সেভাবে ছক্কা মারতে না পারার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল ভারতের সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকাটেরও কাছেও। তিনি জানালেন নিজেদের দারুণ বোলিংয়ের কথা, ‘‘আসলে আমরা যেভাবে বল করেছি তাতে ছক্কা মারার কাজটা কঠিন হয়ে গেছে বাংলাদেশিদের জন্য। এই ছেলেরা সবাই আইপিএলে যথেষ্ট ম্যাচ খেলে। ওরা ভালোভাবে জানে কীভাবে ছক্কা মারতে হয়। ওদের আমরা স্বাধীনতা দিয়েছি যেন মাঠে নিজেদের কাজটা করতে পারে।’’
সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় শনিবার শেষ ম্যাচে অভিষেক হতে পারে ফাস্ট বোলার হার্শিত রানার। সঞ্জু স্যামসন ব্যর্থ হলেও আরও একটা সুযোগ তাকে দিতে চান ডেসকাট, ‘‘আমাদের কজন এখনও সুযোগ পায়নি। অবশ্যই আমরা চাই হার্শিত রানাকে একটি ম্যাচ খেলিয়ে দেখতে। তিলক (ভার্মা) কিছুটা দেরিতে স্কোয়াডে এসেছে। জিতেশ (শর্মা) আছে, আমরা চাই সঞ্জুকে (স্যামসন) আরও একটি সুযোগ দিতে। আমাদের হাতে অনেক বিকল্প রয়েছে।’’