নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারের অপরাধে গত পাঁচ বছরে ৬ কোটি ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২ হাজার ৫১৬টি অভিযান চালানো হয় বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি জানান, এসব অভিযানের ভিত্তিতে করা ৪ হাজার ২০৭ টি মামলায় সোয়া ছয় কোটি টাকার বেশি জরিমানা আদায় করা হয়।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে এ পরিসংখ্যান দেন তিনি।
মন্ত্রী আরও জানান, এই সময়ের মধ্যে ১৭০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার ৭১ দশমিক ৩৭ মেট্রিকটন পলিথিন, দানা ও কাঁচামাল জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৬টি নিয়মিত মামলাও করা হয়েছে।
আরেক সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের মোট আয়তনের ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ এলাকায় বনভূমি রয়েছে। বন অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। দেশের বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে জবরদখল হয়ে থাকা বনভূমি উদ্ধারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশমন্ত্রী জানান, দেশের ২ লাখ ৫৭ হাজার একর বনভূমি জবরদখল হয়েছে। এর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার একর বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বাকীগুলো উদ্ধারে কার্যক্রম চলছে।
তিনি বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে রাস্তা, উন্নয়ন প্রকল্প, বিদ্যুৎ লাইন বনের জমির ওপর দিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে কোনও প্রকল্পে এ ধরনের বিষয় থাকলে তা প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ করতে হবে।”