তিন দিনের পুলিশি রিমান্ড শেষে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকার মোহাম্মদপুরে ইমরুল কায়েস ফয়সাল নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার আসামি তিনি।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার নওগাঁ-১ আসনের সাবেক এই এমপিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম।
শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা জামিন চান, রাষ্ট্রপক্ষ করে বিরোধিতা। দুই পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসাইন জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কারাবিধি অনুযায়ী সাবেক এই মন্ত্রীকে চিকিৎসা দেওয়ারও আদেশ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।
কারাগারে আটক রাখার যুক্তি হিসেবে আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছেন বলে সাধন চন্দ্র মৌখিকভাবে স্বীকার করেছেন। তবে তিনি একেক সময় একেক ধরনের কথা বলছেন। আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা বললেও তিনি তা কৌশলে এড়িয়ে গেছেন এবং জবানবন্দি দিতে অনিচ্ছা পোষণ করেছেন।
পাশাপাশি সাধন চন্দ্রের নাম ঠিকানা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলেও আবেদনে উল্লেখ করেছে পুলিশ।
সেখানে আরও বলা হয়, “আসামি এজাহারে বর্নিত সহিংস ঘটনার বিষয়ে এবং মামলার ভিকটিমকে হত্যার চেষ্টার ঘটনার বিষয়ে জানতেন। তিনি এই ঘটনায় পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন বলেও তথ্য পাওয়া গেছে। আসামি জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়াসহ মামলার তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে।
“তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে মামলার তদন্ত সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন।”
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আসামির তিন দিন হেফাজতে নিয়ে পুলিশকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম।
গত ৩ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সাধন চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। পরদিন ৪ অক্টোবর ঢাকার ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রমিজ উদ্দিন আহমেদ রূপকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে ঢাকার সিএমএম আদালত।