সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ফের পিছিয়ে ১৫ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নিয়ে এই দম্পতির হত্যা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১১১ বার পেছানো হলো।
সোমবার শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত নতুন এ তারিখ ঠিক করেন বলে জানিয়েছেন শেরেবাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দিন।
এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা ছিল। কিন্তু তদন্ত সংস্থা র্যাব প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ঠিক করেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের তৎকালীন বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার তৎকালীন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ আটজনকে আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।
শুরুতে তদন্তের দায়িত্বে শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ থাকলেও মামলা করার চারদিন পর তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের কাছে তদন্তকাজে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। তাদের ব্যর্থতা আমলে নিয়ে আদালত র্যাবকে সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলা তদন্তের আদেশ দেয়।
২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি র্যাব আদালতকে জানায়, সাগর-রুনির বাসা থেকে জব্দ করা আলামতের ডিএনএ পর্যালোচনায় অজ্ঞাতপরিচয় দুই পুরুষের উপস্থিতি মিলেছে। অজ্ঞাতপরিচয় দুজনকে শনাক্ত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইনডিপেনডেন্ট ফরেনসিক সার্ভিসেস (আইএফএস) ল্যাবে ডিএনএ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছবি প্রস্তুতির চেষ্টা চলছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র পরে দৈনিক প্রথম আলোকে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ডিএনএ ল্যাবের ফলাফল জেনেছে র্যাব। তবে সেই দুজনের ডিএনএ থেকে ছবি তৈরির সন্তোষজনক ফল পাওয়া যায়নি।