ঠাকুরগাঁও থেকে ভোর বেলা যখন ট্রেন থেকে কমলাপুর স্টেশনে নামেন মোসাম্মৎ সাগরিকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলীর চেহারায় ক্লান্তির ছোঁয়া। কিন্তু মিরপুরে ওয়ালটনের স্পোর্টস উইংয়ের কার্যালয়ে যখন এলেন চোখেমুখে ছিল খুশির ঝিলিক।
কমলাপুর স্টেডিয়ামে চলমান অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত ফুটবল খেলছেন সাগরিকা। কিন্তু তার বাবা ঠাকুরগাঁওয়ে বসে সেই খেলা দেখেছিলেন ধার করা টেলিভিশনে। সকাল সন্ধ্যায় সাগরিকার বাবাকে নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, ধারের টেলিভিশনে মেয়ের ফুটবল দেখলেন চা-দোকানি বাবা। এই খবর প্রকাশিত হতেই তাকে টেলিভিশন উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দেশের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।
ঠাকুরগাঁওয়ে সাগরিকার বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওয়ালটনের সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক ওয়ালটন হাইটেক পিএলসি এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। এরপর ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় আসেন সাগরিকার বাবা মোহাম্মদ লিটন আলী ও মা আঞ্জু বেগম।
বৃহষ্পতিবার সকালে এই দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয় ওয়ালটনের ৩২ ইঞ্চি অ্যান্ড্রুয়েড টেলিভিশন। টেলিভিশন সেটটি তাদের হাতে তুলে দেন ইকবাল বিন আনোয়ার ডনসহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা।
টেলিভিশন হাতে পেয়ে উচ্ছ্বসিত লিটন আলী বলছিলেন, “আমি কল্পনাও করিনি ওয়ালটন এভাবে আমাদের ডেকে এনে টেলিভিশন উপহার দেবেন। আমরা ওয়ালটনের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি এখন মেয়ের খেলা এই টেলিভিশনে দেখতে পারব।”
শুধু সাগরিকায় নয়, এর আগে মেয়েদের বিভিন্ন সাফল্যে নারী দলের ফুটবলারদের ওয়ালটন সামগ্রী দিয়ে উৎসাহিত করেছে ওয়ালটন। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সাগরিকার বাবা-মাকে টেলিভিশন উপহার দিয়ে ইকবাল বিন আনওয়ার বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। এটা আমাদের দায়বদ্ধতাও আছে। আমাদের টিমের মধ্যে সাগরিকা খুব ভালো খেলোয়াড়। তার গোলে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। আমি বিশ্বাস করি সাগরিকা ভালো খেলবে।”
সঙ্গে যোগ করেছেন, “সাগরিকার বাবা অন্যের টেলিভিশনে মেয়ের খেলা দেখেন। এই খবর পেয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিই তাকে টেলিভিশন দেব। সাগরিকার বাবা-মা যেন তার মেয়ের খেলাটা ওয়ালটনের টেলিভিশনে দেখতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি।”