বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ।
পিটিআই জানিয়েছে, সোমবার পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক নারীকে যার সাথে সাইফের ওপর হামলাকারীর সংযোগ রয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
ওই নারীর সাহায্যেই নাকি বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছিলেন হামলাকারী শরিফুল। সেই নারী মুর্শিদাবাদের আন্দুলিয়ার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে।
১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে এই বলিউড তারকার বাড়িতে ঢুকে পড়ে ঢুকে ডাকাতির চেষ্টা চালায় এক ব্যক্তি। এ সময় সাইফ আলি খান তাকে বাধা দিতে গেলে হামলার শিকার হন। তাকে উপর্যুপরি ছয়টি ছুরিকাঘাত করা হয়।
রাত আড়াইটার দিকে অটোরিকশাতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে অস্ত্রোপচার করে তার শরীর থেকে বের করা হয় ভাঙা ছুরির টুকরা। এরপর সাইফকে রাখা হয় আইসিইউতে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এখন নিজের বাসায় আছেন এখন এই অভিনেতা।
হামলার তিন দিন পর মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শাহজাদ (৩০) নামে একজনকে ধরার পর মহারাষ্ট্র পুলিশ বলছে, এই যুবক বাংলাদেশি।
চুরির উদ্দেশে ঢুকে ধরা পড়া এড়াতে সাইফকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছিলেন তিনি।
মুম্বাই পুলিশের ধারণা, ওই হামলাকারী বাংলাদেশি নাগরিক হতে পারে। কারণ তার কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণস্বরূপ কোনও নথি পাওয়া যায়নি। আবার এমন কিছু পাওয়া গেছে, যা থেকে ধারণা করা যাচ্ছে যে তার বাড়ি বাংলাদেশে।
পুলিশের দাবি, বিজয় দাস নাম নিয়ে গত ৫-৬ মাস ধরে মুম্বাইয়ে থাকছিলেন শরীফুল। তিনি কাজ নিয়েছিলেন একটি হাউজকিপিং কোম্পানিতে।
২৩ জানুয়ারির নিজের বক্তব্য পুলিশকে জানিয়েছেন সাইফ। তার বয়ানে জানান, সেই রাতে তখন তিনি আর কারিনা ছিলাম ১১ তলায় নিজেদের শোবার ঘরে। রাতে আচমকাই শুনতে পান ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের চিত্কার।
ছেলের চিত্কার শুনে সঙ্গে সঙ্গে তার ঘরে যান সাইফ এবং কারিনা। সেখানেই ছিলেন হামলাকারী। গৃহকর্মীও ভয়ে পেয়ে চিত্কার করছিলেন। আর ভয়ংকর কাঁদছিলেন সাইফের ছোট ছেলে জেহ। তখনই সেই হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করেন তিনি।
সেই ব্যক্তি সাইফের পিঠে, ঘাড়ে এবং হাতে বেশ কয়েকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর বড় ছেলে ইব্রাহিম সাইফকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এদিকে সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় নতুন তথ্য সামনে আসছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিভাগের রিপোর্ট বলছে, সাইফের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গিয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের কোনো মিল নেই। বলা হচ্ছে, সাইফের বাড়ি থেকে পাওয়া নমুনার একটাও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে।