কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্ট থেকে গুলিবর্ষণের কারণে সাত দিন ধরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চালাচল বন্ধ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিকল্প পথে দ্বীপটিতে পণ্য ও সীমিত আকার যাত্রী পরিবহন শুরু হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার।
বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ১০ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। তাদের খাদ্যসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্য যায় টেকনাফ থেকে। মানুষ ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম নৌযান। টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে প্রতিদিনই দ্বীপের বাসিন্দারা যাতায়াত করেন ট্রলারে। খাদ্যপণ্য পরিবহনেও ব্যবহৃত হয় ট্রলার।
মিয়ানমারে চলমান সংঘাত গত ফেব্রুয়ারি মাসে জোরাল হয়। এই সংঘাতের জেরে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে মিয়ানমার থেকে ছোড়া হচ্ছে গুলি। মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিপি না কি জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীরা এসব গুলি ছুড়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান জানান, মিয়ানমার সীমান্ত এলাকা থেকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে নৌযান চালাচল বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনেও যাত্রী আসা-যাওয়া বন্ধ রয়েছে। এতে দ্বীপে খাদ্যপণ্য সঙ্কট তৈরি হচ্ছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে বিকল্প পথ কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার জেটি ঘাট থেকে বঙ্গোপসাগর হয়ে পণ্যবাহী ট্রলার যাবে সেন্টমার্টিনে। একই সঙ্গে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ হয়ে নতুন চ্যানেলে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের নিরাপত্তায় সীমিত আকারে যাত্রী চলাচল শুরু হবে।
দ্বীপের বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, টেকনাফের নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের নাইক্ষ্যংদিয়া পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আছে মিয়ানমারের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠি। গোষ্ঠিটি কোনোভাবেই টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে ট্রলার বা স্পিড বোট চলাচল করতে দিচ্ছে না।
ওই রুটে ট্রলার বা বোট দেখার সঙ্গেসঙ্গে গুলি করছে। গতকাল মঙ্গলবার গুলিবর্ষণ করা হয় টেকনাফ থেকে পাঁচ যাত্রী নিয়ে রওনা হওয়া একটি স্পিড বোট লক্ষ্য করে। এর আগে ৫ জুন সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার সময় নির্বাচনী সরঞ্জাম ও কর্মকর্তাদের বহনকারী নৌযানে গুলি করা হয় মিয়ানমার থেকে।
এরপর ৮ জুন পণ্যবাহী একটি ট্রলারে গুলি চালানো হয়। এতে কেউ হতাহত না হলেও ট্রলারটিতে গুলি লাগে।