রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে সুইমিং পুল তৈরির জন্য চলমান পাহাড় কাটার কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এই পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেওয়ার পাশাপাশি রুল জারি করে।
আদেশে পাহাড় কাটার ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “আদালত এক অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে প্রশাসনকে মনিটরিং টিম গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে কেউ পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটতে না পারে।”
গত ২৮ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাজেকে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে আদালতে রিট আবেদন করা হয়।
আবেদন থেকে জানা যায়, ১ হাজার ৮০০ ফুট ওপরে পাহাড় কেটে সুইমিংপুল নির্মাণ করছে মেঘপল্লী রিসোর্ট। প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সুইমিংপুল নির্মাণ করা হচ্ছে। জলাধারটির দৈর্ঘ্য ৩৪ ফুট, প্রস্থ ১৮ মিটার ও গভীরতা সাড়ে তিন মিটার। যেখানে পানির ধারণ ক্ষমতা ৯০ হাজার লিটার।
এভাবে পাহাড় কাটায় সাজেকের প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে। যে কারণে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।