এক প্রান্তে সাজিদ খান, আরেক প্রান্তে নোমান আলী। সেই মুলতান টেস্ট থেকে জুটি বেঁধে বল করেই চলেছেন পাকিস্তানের দুই স্পিনার। মাঝখানে বল করেননি আর কেউ! অবশেষে তারা থামলেন রাওয়ালপিন্ডিতে। ততক্ষণে দুজন মিলে করে ফেলেছেন ৮৯.৫ ওভার!
কীভাবে সম্ভব টানা এত বেশি ওভার বল করা? পাকিস্তানের কি আর কোন বোলার নেই। আসলে মুলতান টেস্টের প্রথম ইনিংসের শেষ ১৪.২ ওভার বোলিং করেছিলেন দুজন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে টানা ৩৩.৩ ওভার বোলিং করেন সাজিদ ও নোমান। দুজনের স্পিন বিষে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড।
সেই ইনিংসে পাকিস্তানের আর কোনো বোলার বোলিংই করেননি। এরপর রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে আজ এই জুটি টানা বোলিং করেছেন ৪২ ওভার। দুই ইনিংস মিলে ইংল্যান্ডের ২০ উইকেটের সবগুলো নেন দুজন (সাজিদ ৯টি, নোমান ১১টি)। টেস্ট ক্রিকেটের একবিংশ শতাব্দীতে এক ম্যাচে ২ বোলার মিলে প্রতিপক্ষের সব কটি উইকেট নেওয়ার প্রথম ঘটনা এটা।
আজ (বুধবার) রাওয়ালপিন্ডি টেস্টেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই প্রান্ত থেকে বোলিং শুরু করেন সাজিদ ও নোমান। থামেন দুজন মিলে ৪২ ওভার করে। ততক্ষণে দুই টেস্টের তিন ইনিংস মিলে টানা ৮৯.৫ ওভার করে ফেলেন দুজন!
সাজিদ ও নোমানের ঘূর্ণিতে ইংল্যান্ড প্রথম দিনই অলআউট ২৬৭ রানে। সাজিদ ৬টি আর নোমান নেন ৩ উইকেট। অপর উইকেটটি জাহিদ মাহমুদের।
সাজিদ-নোমান প্রথম ৪২ ওভারে ১১৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের। তারা ৫ উইকেট হারায় ৯৮ রানে। বাজবল যুগে শুরুতে ব্যাট করে এবারই প্রথম ১০০ রানের নিচে ৫ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন জেমি স্মিথ। বেন ডাকেট ৫২, গাস অ্যাটকিনসন ৩৯, জ্যাক ক্রাউলি ২৯ আর অধিনায়ক বেন স্টোকস করেন ১২ রান।
জবাবে ৩ উইকেটে ৭৩ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে পাকিস্তান। আব্দুল্লাহ শফিক ১৪, সাইম আইয়ুব ১৯ আর কামরান গুলাম আউট হয়েছেন ৩ রান করে।