আফ্রিকা কাপ অব নেশনস। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াইকে ডাকা হয় ‘আফ্রিকান বিশ্বকাপ’ নামেও। এই প্রতিযোগিতা কখনও জেতা হয়নি মোহাম্মদ সালাহর। এবার তিনি জেতার পণ করেই নেমেছিলেন আইভরি কোস্টের আসরে। কিন্তু চোট সেটি হতে দিল না। হ্যামিস্ট্রিং ইনজুরিতে আফ্রিকার ফুটবল যুদ্ধ থেকে ছিটকে গেছেন মিশরের এই ফরোয়ার্ড।
১৮ জানুয়ারি গ্রুপ পর্বে ঘানার মুখোমুখি হয়েছিল মিশর। ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচটিতে মাংশপেশীতে টান লাগে সালাহর। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছিল ইনজুরি গুরতর নয়। কিন্তু পরবর্তীতে নিশ্চিত হওয়া গেছে হ্যামস্ট্রিংয়ে পাওয়া চোটটা গুরুতর। যেকারণে আফ্রিকা কাপ অব নেশনস ছেড়ে লিভারপুলে ফিরে যাচ্ছেন সালাহ। বুধবার লিভারপুরে পৌঁছে পুনর্বাসনের কাজ শুরু করবেন তিনি।
এমনটাই জানিয়েছেন, অলরেডদের সহকারী কোচ পেপ লিন্ডার্স, “হ্যামিস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছে সালাহ। এই ধরনের চোট কাটিয়ে ফিরতে তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে। মিশর ও লিভারপুলের মেডিকেল দল মিলিত হয়ে যেভাবে কাজ করেছে তাতে আমি ভীষণ খুশি। আমরা উভয় মিলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
সালাহ ফিরে যাচ্ছেন লিভারপুলে। গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের মাঝে তার চোট অবশ্যই মিশরের জন্য বড় ধাক্কা। এই অবস্থায় জাতীয় দলের প্রতি সালাহর কমিটমেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মিশরের জার্সিতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা আহমেদ হাসান।
সালাহর হয়ে উত্তরটা দিয়েছেন লিন্ডার্স, “মোহাম্মদ সালাহর কমিটমেন্ট নিয়ে কারও প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। আমি জানি তার দেশের কত বড় ক্ষতি হলো। ও অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। কিন্তু ওর ভালোর কথা চিন্তা করেই আমাদের মেডিকেল টিমকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।”
সালাহর ‘আফ্রিকা বিশ্বকাপ’ একেবারে শেষ হয়ে গেছে, সেটা সরাসরি বলেননি লিভারপুলের সহকারী কোচ। কিছুটা আশা আছে, অবশ্য সেটি নির্ভর করছে টুর্নামেন্টে মিশরের পারফরম্যান্সের ওপর, “আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব যাতে মিশর ফাইনালে গেলে সে (মিশর) খেলতে পারে।”