বাফুফে সিনিয়র সহ সভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী ফেঁসে গেছেন বাফুফের আর্থিক লেনদেনের দায়িত্বে অবহেলা করে। এজন্য তাকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ (প্রায় ১৩ লাখ টাকা) জরিমানা করে ফিফা।
বাফুফের অনেক কেনাকাটার মধ্যে ফুটবলারদের সরঞ্জাম, ফুটবল, ঘাস কাটার মেশিনসহ অনেক কিছুই কিনতে হয়। সেসবের দরপত্র নির্বাচন থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট কোম্পানিকে চেক প্রদানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান হিসাবে সালাম মুর্শেদীকে স্বাক্ষর করতে হয়েছে। আর এসব কেনাকাটায় পদে পদে হয়েছে দুর্নীতি ও ভুয়া কাগজপত্র পাঠানো হয়েছিল ফিফার কাছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত শুনানিতে ফিফা বিচারকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন সালাম।
সেখানে তিনি দাবি করেন, বাফুফেতে অনেক সময় তার স্ক্যান করা স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়। তবে চেকে তো কখনও স্ক্যান করা স্বাক্ষর ব্যবহৃত হয়নি। তার সঙ্গে কথা বলে সালামের দায়িত্বে অবহেলার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন ফিফার বিচারকরা। তাই ফিফার এথিকস কোড অনুযায়ী ১৩ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
এই জরিমানার বিরুদ্ধে আপিল করবেন না বলে জানিয়েছেন আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি জানান, “বাফুফের কর্মচারীরা আমাদের যা করে দেয়, সেটার ওপরই আমরা কাজ করি। যদি কোনও দায়িত্বে অবহেলা মনে করে থাকে, আমার জরিমানা দিয়ে দিতে হবে। এখানে বিষয়টা এমন না যে, আমরা ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটা করেছি।”
বাফুফের কাজের প্রক্রিয়া নিয়ে সালাম বলেন, “এটা তো চেইন ওয়ার্ক। এভাবে যখন কোনও কাজ আসে সেখানে যে-ই সই করবে মনে হবে এটা তারই ভুল। আমি যখন কোনও কিছুতেই সই করি তখন সব প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করি। ফিফা, এফসির চূড়ান্ত অনুমোদন দেখেই সই করি যে ওই খাতে টাকাটা সঠিক আছে কিনা। এখানে ভুল থাকতে পারে কিনা আমি জানি না।” টাকা সঠিক কিনা তা দেখে তিনি স্বাক্ষর করেন। তবে তার আগে সাজানো দরপত্র বানিয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ ও তার সঙ্গী-সাথীরা যে অপকর্ম করতেন সেটা তার জানা ছিল না !