আর্থিক অনিয়ম, দূর্নীতি, ভুয়া বিলে টাকা ছাড়ের জন্য শাস্তি হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কয়েকজন কর্মকর্তার। সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে তিন বছর নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদীর জরিমানা হয়েছে মোটা অঙ্কের। শাস্তি হয়েছে আরও কয়েকজন কর্তার। বাফুফে সভাপতি হিসেবে এর দায় দায় এড়াতে পারেন না কাজী সালাউদ্দিনও।
বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য এটা লজ্জা ও অপমানের। এরই প্রতিবাদ আর কাজী সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীসহ দূর্নীতিবাজ কর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে আজ (বৃহস্পতিবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে একত্রিত হয়েছিলেন সাবেক ফুটবলারদের অনেকে।
‘ঘোর অমানিশায় দেশের ফুটবল–দুর্নীতিবাজ ও ব্যর্থ বাফুফে কর্মকর্তাদের অপসারণ চাই’ ব্যানারে একত্রিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সত্তর-আশি ও নব্বইয়ের দশকে দেশের ফুটবলের বড় ফুটবলাররা। জাতীয় সাবেক ফুটবলার আব্দুল গাফফারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন আশরাফউদ্দিন আহমেদ চুন্নু, আবু ইউসুফ, দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল, শামসুল আলম মঞ্জু, মো. সুলতান, কাজী আনোয়ার, সৈয়দ রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির, বিপ্লব ভট্টাচার্য্য ও আরমান মিয়া। ফিফার রিপোর্টে ফেডারেশন কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরেন তারা।
ফিফার শাস্তি নিয়ে আব্দুল গাফফার বললেন, ‘‘ফুটবল ফেডারেশনের দুই শীর্ষ ব্যক্তি সাবেক ফুটবলার, অথচ আমাদের ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তা ফিফার জরিমানায় পড়ছে আর স্টাফরা নিষিদ্ধ হচ্ছে। এটা অত্যন্ত লজ্জার, যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। আমরা এর প্রতিবাদ স্বরূপ এখানে একত্রিত হয়েছি। তারা নৈতিকভাবে পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। ফুটবলের স্বার্থে তাদের সরে যাওয়া উচিৎ, এটাই আমাদের দাবি।’’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। সম্প্রতি পুলিশের সাবেক আইজিপির ব্যাপারে তদন্ত চলছে। ফুটবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও নিশ্চয়ই পার পাবে না। শুধু ফিফার ফান্ড নয়, সরকারি অনেক অর্থও তারা সঠিকভাবে ব্যবহার করেনি। রাসেল সাহেবের আমলে ১০ কোটি টাকার সঠিক হিসাব দিতে পারেনি বাফুফে।’’
সালাউদ্দিনের এক সময়ের সতীর্থ আশরাফ উদ্দিন চুন্নু কলংকের দায় নিয়ে অপসারন চাইলেন কাজী সালাউদ্দিনের, ‘‘ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে তাকেও এর দায় নিতে হবে। দায় হিসেবে পদত্যাগ করা উচিৎ।’’
দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল আবার বিস্মিত হয়েছেন ফিফা সালাম মুর্শেদীকে নিষিদ্ধ না করায়, ‘‘প্রায় একই ঘটনায় দুই জনের একই শাস্তি হওয়ার কথা। সেখানে একজনকে শুধু জরিমানা করেছে (সালাম) আর অপরজনকে (সোহাগ) নিষিদ্ধ করেছে।’’
