Beta
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে নাকি টাকা দিতে চেয়েছিলেন সালমান খান

সালমান খান, বলিউড, মুম্বই, হিন্দি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি
মহারাষ্ট্রের রাজনীতিক ও সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি হত্যার পর সালমান খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
[publishpress_authors_box]

বিষ্ণোইদের সাথে সব বিরোধ নাকি টাকার বিনিময়ে এক সময় মিটিয়ে নিতে চেয়েছিলেন সালমান খান! খোলা চেকবই নিয়ে নাকি নিজেদের ইচ্ছামত টাকার অঙ্ক বসানোর প্রস্তাবও দিয়েছিলেন এই সুপারস্টার, এমনটাই দাবি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের পরিবারের।

কারাগার থেকে গ্যাং চালানো লরেন্সের চাচাতো ভাই রমেশ এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন কৃষ্ণ হরিণ হত্যার ঘটনায় পুরো বিষ্ণোই সম্প্রদায়ই লরেন্সের পাশে আছে।

তবে হরিণ হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে সালমান খান টাকা দিতে চাইলেও তারা নিতে অস্বীকার করে।

“যখন সালমান খান কৃষ্ণ হরিণ হত্যা করেছিল, তখন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের প্রতিটি মানুষের রক্ত টগবগ করে ফুটছিল। আমরা বিষয়টি আদালতের উপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু যদি আমাদের সম্প্রদায়কে নিয়ে উপহাস করা হয়, তবে আমাদের ক্ষুব্ধ হওয়াটা স্বাভাবিক। আজ পুরো বিষ্ণোই সম্প্রদায় লরেন্সের পাশে দাঁড়িয়েছে,” বলেছেন রমেশ।

একাধিক মামলার আসামী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাটের সবরমতী কারাগারে বন্দী আছেন। কৃষ্ণহত্যার ঘটনার পর সালমান বেশ কয়েকবার লরেন্স বিষ্ণোই এর কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছিলেন বলে জানা যায়।

বাবা সিদ্দিকি হত্যার পর সালমান স্পটলাইটে আসেন মূলত ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে তার কৃষ্ণহরিণ শিকারকে কেন্দ্র করে। রাজস্থানের যোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিংয়ের ফাঁকে ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর দুইটি কৃষ্ণ বা কালো হরিণকে গুলি করে শিকার করেন। এর ঠিক ১২ দিন পর ২৮ সেপ্টেম্বরে ঘোডা এলাকার একটি ফার্মে আরেকটি কৃষ্ণহরিণ শিকার করেন বলিউডের ‘ভাইজান’।

বাবা সিদ্দিকি, লরেন্স বিষ্ণোই, সালমান খান
বাবা সিদ্দিকি, লরেন্স বিষ্ণোই, সালমান খান

বিলুপ্ত প্রজাতির এ হরিণ বিষ্ণোই ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। তারা মনে করেন, হিন্দুদের বিষ্ণোই গোত্রের প্রবক্তা ভগবান জাম্বেশ্বরের পুনরুত্থানের প্রতীক কৃষ্ণহরিণ।

বিষ্ণোই গ্যাং তাই ধর্মীয় পবিত্রতা নষ্টের কারণ দেখিয়ে সালমানকে হত্যা করতে চাইছে। সালমান খানের বাড়ি পূর্ব বান্দ্রায়, যেটি আবার সিদ্দিকির নির্বাচনী ও বেড়ে ওঠার এলাকা। সালমানের ওপর এ বছর এপ্রিলে হামলার পর বাবা সিদ্দিকি তার নিরাপত্তার জন্য পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারই জের হিসেবে তাকে হত্যা করা হল বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

‘খুব কঠিন সময় চলছে’ সালমান খানের

সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যার মধ্য দিয়ে দুই দশকের বেশি সময় পরে বলিউডে নতুন করে সহিংস সন্ত্রাসবাদ হানা দিল

বলিউডে বাবা সিদ্দিকি সবচেয়ে আলোচিত সম্ভবত ২০১৩ সালে সালমান খান ও শাহরুখ খানের মধ্যে চলতে থাকা বিরোধ মেটানোর মধ্যস্ততাকারী হিসেবে। সেবার এক ইফতার পার্টিতে দুই নায়ককেই নিমন্ত্রণ করেন তিনি।

সালমানের বাবা বলিউডের বিখ্যাত প্রযোজক ও স্ত্রিপ্টরাইটার সেলিম খানও ছিলেন নিমন্ত্রিত। সেখানেই ইফতারের সময় শাহরুখ খানকে সেলিম খানের পাশে বসিয়ে দেন তিনি। তখন থেকেই দুই মহাতারকার দূরত্ব কমতে থাকে

নিজের বাসায় ইফতার পার্টিতে সালমান খান ও শাহরুখ খানের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে ছিলেন বাবা সিদ্দিকি।

বলা হয়, মু্ম্বাইয়ে সর্বকালের সেরা গ্যাংস্টার হিসেবে কুখ্যাতি অর্জনকারী দাউদ ইব্রাহিমের সন্ত্রাসী দল ‘ডি কোম্পানি’র হয়ে বলিউডের চাঁদাবাজি ও মাদকসহ অন্যান্য অবৈধ ব্যবসায়ের মধ্যস্থতাকারী ছিলেন বাবা সিদ্দিকি।

রোজার মাসে চোখ ধাঁধানো ইফতার পার্টির দিতেন সিদ্দিকি। ওইসব ইফতার পার্টিতে বলিউডের বড় বড় তারকা, রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীরা মিলিত হতেন। একধরনের ‘বিজনেস ডিল’ এর ক্ষেত্রও হয়ে উঠেছিল সিদ্দিকির দেয়া পার্টিগুলো।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত