একবার মাঠ থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন আম্পায়ার সামির বান্দেকার! ২০০৬ সালের ডিসেম্বর দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় (নতুন নাম অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম) দিল্লি-উত্তর প্রদেশের রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের শেষ দিন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। সেই বান্দেকার ভারত ছেড়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
আম্পায়ারিং করছেন যুক্তরাষ্ট্রেও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সিরিজে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্বও পেয়েছেন সামির বান্দেকার। তিন ম্যাচের এই সিরিজে বান্দেকারের সঙ্গে আম্পায়ারের দায়িত্ব পেয়েছেন জারমেইন লিন্ডো, আদিত্য গাজ্জার ও বিজয়া মাল্লেলা।
তারা মার্কিন নাগরিক হলেও কারও জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে নয়। লিন্ডো জ্যামাইকান। বান্দেকার, গাজ্জার ও মাল্লেলা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। আম্পায়ারদের নাম ঘোষণার পর উঠে এসেছে ২০০৬ সালে দিল্লি মাঠ থেকে বান্দেকারে নিখোঁজ হওয়ার পুরোনো গল্প।
দিল্লির হয়ে সেই ম্যাচে খেলেছিলেন বিরাট কোহলিও। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি ড্র হতে যাচ্ছিল নিশ্চিতভাবে। ম্যাচের শেষ দিন সকালে দুই আম্পায়ার ইভাতুরি শিবরাম ও সামির বান্দেকার ঘন কুয়াশার জন্য আলোকস্বল্পতায় পিছিয়ে দেন খেলা।
সকাল পৌনে ১১টায় কুয়াশা কেটে গিয়ে দিল্লির আকাশে রোদের দেখা মিললেও আম্পায়ার সামির বান্দেকার ও ম্যাচ রেফারি সম্বরন ব্যানার্জিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অথচ দুই দল খেলার জন্য মাঠে নামার অপেক্ষায়। দুপুর ১২টার দুজন ফিরে এসেই দেন মধ্যাহ্নভোজ বিরতির ঘোষণা! এ সময় আবারও আলো স্বল্পতা দেখা দিলে দিনের খেলা বাতিল করে দেন তারা।
ম্যাচ শেষে অফিশিয়ালদের বিপক্ষে দিল্লি অ্যান্ড ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয় দুই দল। ম্যাচ রেফারি ব্যানার্জি দাবি করেন, প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে টয়লেটে ছিলেন তিনি!
পরে হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মাঠের অদূরে সেন্ট স্টিফেনস গ্রাউন্ডে বেঙ্গল ও পাঞ্জাব অনূর্ধ্ব-২২ দলের খেলা দেখতে গিয়েছিলেন ম্যাচ রেফারি সম্বরন ব্যানার্জি ও আম্পায়ার সামির বান্দেকার।
ম্যাচের বিরতির সময় ফিরোজ শাহ কোটলায় ফিরে আসেন তারা। ম্যাচের বাকি সময়ের খেলা বাতিল করে আবারও মাঠ থেকে বেড়িয়ে যান সেই দুজন! এর কিছুদিন পর ভারত ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান বান্দেকার।
সব সংস্করণ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ৫৯ বছর বয়সী বান্দেকার। যুক্তরাষ্ট্রের আম্পায়ারদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে অভিজ্ঞ।
হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে আগামী মঙ্গলবার হবে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি। একই ভেন্যুতে শেষ দুটি ম্যাচ বৃহস্পতি ও শনিবার। তবে বৃষ্টির শঙ্কা আছে সিরিজ জুড়ে। বৃষ্টি হলে এবার নিশ্চয়ই মাঠ থেকে নিখোঁজ হবেন না বান্দেকার!