বাংলাদেশ ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২০০ নম্বরে চলে যাবে না তো? এ নিয়ে হৈচৈ হয়েছে বেশ। না, বাংলাদেশ ২০০ নম্বরের কাছাকাছি গেলেও এতটা নিচে নামেনি।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২০০’র নিচেও অবশ্য দল আছে। সবচেয়ে তলানিতে ২১০ নম্বরে আছে ইউরোপেরই দেশ স্যান মারিনো। শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে মুড়ি-মুড়কির মতো গোল খায় তারা। ৭-৮টা গোল হজম করে নিয়মিতই। সবমিলিয়ে নিজেদের ইতিহাসে ১০ বা এর বেশি গোল হজম করেছে ৭বার!
২১১টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে হেরেছে ১৯৯টিতে। এমনকি শুরুতে গোল হজম করে জয়ের রেকর্ডও ছিল না তাদের। গত বছর সেই স্যান মারিনোর কোচ হয়ে দলটাকে বদলে দিয়েছেন রবার্তো সিভোলি। তার হাত ধরে উয়েফা নেশনস লিগে নতুন ইতিহাস গড়ল দলটি।
সোমবার স্যান মারিনো পিছিয়ে পড়েও ৩-১ গোলে হারিয়েছে লিখটেনস্টেইনকে। এই জয়ে নেশনস লিগের ‘ডি’ স্তর থেকে তারা প্রথমবার উঠেছে ‘সি’ স্তরে। গ্রুপ ‘ডি’ ওয়ানের ৪ ম্যাচে স্যান মারিনোর জয় ২টি, হার ও ড্র একটি করে। দুই জয়ের দুটিই র্যাঙ্কিংয়ের ২০০ নম্বরে থাকা লিখটেনস্টেইনের বিপক্ষে।
প্রতিপক্ষের মাঠে এটা স্যান মারিনোর প্রথম জয়। এছাড়া প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এবারই তারা জিতল পিছিয়ে পড়ার পরও, আর করলো ৩ গোল।
ছোট ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে সফলতা পাওয়া রবার্তো সিভোলি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছিলেন স্যান মারিনোকে। এক বছরের মাথায় দলটাকে নেশনস লিগের ‘সি’স্তরে তুলে আনতে পারাটা তার জন্য বড় সাফল্য।
ম্যাচ শেষে রবার্তো সিভোলি জানালেন, ‘‘১-০ গোলে পিছিয়ে থাকাটা আমার কাছে ফুটবলকে তিরস্কার করার মতো। তবে ছেলেরা দারুণ খেলে জিতেছে ম্যাচটা। পরের স্তরে যাওয়া আমি খুশি।’’
স্যান মারিনো ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মারকো তুরা কেঁদেই ফেললেন ম্যাচ শেষে, ‘‘এই ছেলেরা ইতিহাস গড়েছে। ওদের সঙ্গে কেঁদেছি আমি।’’