Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সংখ্যালঘুদের রক্ষায় ৯ দাবি উত্থাপন

হিন্দুসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে সনাতন পার্টি।
হিন্দুসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বন্ধে শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে সনাতন পার্টি। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর হিন্দুসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হচ্ছে, তা বন্ধসহ নয়টি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সনাতন পার্টি (বিএসপি)।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এ দাবিগুলো উত্থাপন করে বলা হয়, বাংলাদেশে হিন্দুরা দুই দিকেরই যাঁতাকলে আছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদেরও আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

আলোচনা সভায় বিএসপির সাধারণ সম্পাদক সুমন কুমার রায় বলেন, “স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হচ্ছে। তাদের সম্পত্তি, দোকানপাট, বাড়িঘর লটুপাট করা হচ্ছে। মন্দিরে আগুনের ঘটনাও ঘটছে। এ ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।”

এই পরিস্থিতিতে হিন্দুদের ওপর হামলা না চালানোর আহ্বান জানানো এবং সুরক্ষার বন্দোবস্ত করায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের সিদ্দিকীসহ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএসপি।

হিন্দুরা আওয়ামী লীগের সময়েও নির্যাতিত ছিলেন দাবি করে সুমন রায় বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের এই ১৫ বছরের সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এরপর তার পতনের পর নতুন করে এখন আবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হচ্ছে।

“অনেকে মনে করে, হিন্দুরা আওয়ামী লীগের সমর্থক, এজন্য হেরে গেলে মনে করে হিন্দুরা আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়নি। আবার অন্যদল মনে করে, তাদের ভোট দেয়নি। আমাদের উভয় দিক থেকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।”

স্বাধীনতার পর থেকে কোনও সরকারই সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচার করেনি- এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, এজন্য রাজনৈতিক ক্ষমতা ছাড়া এদেশের হিন্দুদের মুক্তি সম্ভবপর নয়।

অনুষ্ঠানে উত্থাপিত নয় দফার মধ্যে রয়েছে- চলমান সংখ্যালঘু নির‌্যাতন বন্ধ করা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবার পরিবারের একজন সদস্যকে যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করা, ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা পুনঃতদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা, স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন এবং নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়া, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন বাতিল করে প্রকৃত মালিকদের হস্তান্তর করা, ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রবর্তন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধে স্থায়ী সমাধান ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ, রাষ্ট্রীয় পদ্ধতির সংস্কার করে বৈষম্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।

বিএসপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনুপ কুমার দত্তের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সনাতন পার্টির সাংগঠিক সম্পাদক নীহার চন্দ্র হালদার, সদস্য হরিনাথ কর্মকার।

বাংলাদেশ সনাতন পার্টি ২০২২ সালে রাজনৈতিক দল হিসাবে ভোটে লড়তে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল। তবে শর্ত পূরণ না হওয়ায় তাদের নিবন্ধন দেয়নি ইসি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত