সন্দীপ লামিচানে। নেপাল ক্রিকেটের ‘পোস্টার বয়’ বলা হয় তাকে। ২২ গজ তিনি আলোকিত করলেও ব্যক্তিগত জীবনে কলঙ্কের কালিমা লাগিয়েছেন আগেই। এবার হলো চূড়ান্ত পরিণতি। ধর্ষণের দায়ে নেপালের একটি আদালত ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন লামিচানেকে। একইসঙ্গে ৩ লাখ রুপি জরিমানা এবং ভুক্তভোগী তরুণীকে ২ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর কাঠমান্ডু পোস্টের।
২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর লামিচানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক তরুণী। নেপাল মিডিয়া ওই তরুণীর নাম দেয় গুশালা-২৬। মামলায় তার দাবি ছিল, ২০২২ সালের ২১ আগস্ট তিলগঙ্গার এক হোটেলে লামিচানে তাকে ধর্ষণ করেছে।
ওই তরুণীর ধর্ষণ মামলায় আঘাত লাগে ক্রিকেট বিশ্বে। কারণ লামিচানে তখন নেপাল জাতীয় দলের অধিনায়ক, একইসঙ্গে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বিশ্বের বড় বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে। তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগে স্বাভাবিকভাবেই নেপাল ক্রিকেটকে নাড়িয়ে দেয়।
দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলা মামলার শুনানির পর আজ (বুধবার) রায় দিয়েছেন কাঠমান্ডুর জেলা কোর্ট। রায়ে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন লামিচানেকে।
ভুক্তোভোগীর দাবি ছিল, ধর্ষণের সময় তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিলেন। যদিও আদালত ‘অপ্রাপ্তবয়স্কের’ বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছেন। নথি হিসেবে ধর্ষণের সময় ওই তরুণী ১৭ বছর বয়সী ছিলেন, আদালতে দাখিল করা এই জন্মসনদ আমলে নেওয়া হয়নি। এ কারণেই শাস্তি কিছুটা কম পেয়েছেন লামিচানে।
আদালতে চলমান এই মামলায় গ্রেপ্তার ছিলেন না লামিচানে। রায়ের সময়ও আদালতে উপস্থিত ছিলেন না তিনি। তবে এই ক্রিকেটারের আইনজীবী সরোজ ঘিমিরে বলেছেন, “এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন লামিচানে।”