সারাক্ষণ সানজিদা আক্তারকে কড়া পাহারায় রাখলেন সেথু এফসির ডিফেন্ডাররা। তবুও বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েছিলেন সানজিদা। কিন্তু সেগুলোকে গোলে অনুবাদ করতে পারেননি বাংলাদেশ জাতীয় দলের উইঙ্গার। ভারতীয় নারী ফুটবল লিগে জেতাও হলো না সানজিদার ক্লাব ইস্ট বেঙ্গলের।
রবিবার গোয়ার তিলক ময়দানে সেথু এফসির বিপক্ষে নিজেদের নবম ম্যাচটি খেলতে নেমেছিল ইস্ট বেঙ্গল। জেতা তো হলোই না। উল্টো সেথু এফসির কাছে ২-০ গোলে হেরেছে।
সানজিদা ইস্ট বেঙ্গলে যোগ দেওয়ার পর থেকে যেন পুরো দলটাই তাকে ঘিরে খেলতে চেয়েছে। আগের ম্যাচেই কিকস্টার্ট এফসির বিপক্ষে ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ গোল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন সানজিদা।
সেই কারণেই কিনা তার ওপর বেশি ভরসা করতে শুরু করে ইস্ট বেঙ্গল। কিন্তু সানজিদা যখনই বল পেয়েছেন তখনই ঘিরে ধরেছেন সেথু এফসির ডিফেন্ডাররা। বক্সে সেভাবে ঢুকতে না পারলেও ম্যাচে বেশ কয়েকটি ক্রস ফেলেছেন দারুণ। সেই ক্রস থেকে ঠিক মতো পোস্টে বল রাখতে পারেননি মার্গারেট দেবী, তৃষা মল্লিকদের কেউ।
গত সপ্তাহে ঢাকায় অনূর্ধ্ব-১৯ মেয়েদের সাফে খেলে গেছেন ভারতীয় দলের ফরোয়ার্ড সুলঞ্জনা রাউল। ইস্ট বেঙ্গলের ফুটবলার এই ম্যাচে সানজিদার সঙ্গে সেভাবে বোঝাপড়া করে খেলতেই পারলেন না।
ইস্ট বেঙ্গল দুটি গোলই খেয়েছে বাজেভাবে। ম্যাচের ৮ মিনিটে সেথু এফসির আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগে ইস্ট বেঙ্গলের এক ডিফেন্ডারের। পেনাল্টি থেকে গোল করেন কাজল ডি সুজা।
৮২ মিনিটে সেই কাজল ডি সুজা করেছেন ২-০। ইস্ট বেঙ্গলের গোলরক্ষক মামনি চেষ্টা করেও বলটা ধরতে পারেননি। দ্বিতীয় চেষ্টায় কাজলের আলতো টোকায় বল ঢোকে জালে।
৭ দলের লিগে রীতিমতো ধুঁকছে ইস্ট বেঙ্গল। ৯ ম্যাচে মাত্র ১ জয় ও ১ ড্র। ৪ পয়েন্ট নিয়ে অবনমনের শঙ্কায়। সেথু এফসি ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে। ৯ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে গোকুলাম কেরালা।