সেট পিস থেকে যখন রংধনু শটে অসাধারণ গোলটি করলেন সানজিদা আক্তার, সাইড বেঞ্চে বসে তা দেখলেন সাবিনা খাতুন।
বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলে যে দৃশ্য কমই দেখা গেছে। কিন্তু ম্যাচটি ছিল ক্লাব ফুটবলের। এবং দীর্ঘদিনের দুই সতীর্থ হয়েছেন মুখোমুখি। সোমবার ভারতীয় নারী ফুটবল লিগে সানজিদার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিল সাবিনার কিকস্টার্ট এফসি।
কাগজে-কলমে শক্তিতে এগিয়ে থাকা কিকস্টার্ট অনুমিতভাবেই জয় পেয়েছে। কলকাতার ইস্টবেঙ্গল মাঠে কিকস্টার্ট এফসি ৩-১ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিকদের।
কিকস্টার্টের একটি করে গোল করেছেন অরুনা বাগ, সোনিয়া মারাক ও কারিশমা পুরুষোত্তম শিরভোয়কার। ইস্টবেঙ্গলের সান্ত্বনার গোলটি সানজিদার।
এই জয়ে ৮ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে কিকস্টার্ট এফসি। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ৭ দলের লিগে ষষ্ঠ স্থানে ইস্টবেঙ্গল।
বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অন্যতম দুই তারকা সাবিনা ও সানজিদা খেলছেন ভারতের নারী ফুটবল লিগে। মাঠে দুজনের লড়াইটা কেমন হয় তা নিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে তাই আগ্রহের কমতি ছিল না।
কিন্তু শুরুর একাদশে সানজিদা থাকলেও সাবিনা মাঠে নামেন ৮৬ মিনিটে। তাই দুই সতীর্থের লড়াইটা হলো মাত্র ৪ মিনিট!
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করে সাবিনার ক্লাব। কর্ণার থেকে অরুনা হেড করে এগিয়ে নেন কিকস্টার্ট এফসিকে। ৩১ মিনিটে কিকস্টার্ট ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সোনিয়ার গোলে।
গোল শোধে মারিয়া ইস্টবেঙ্গল ৪৮ মিনিটে পায় প্রথম গোল। প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে ফ্রি কিকে সরাসরি গোল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন সানজিদা। কিকস্টার্ট গোলরক্ষক মাইবাম বলের ফ্লাইটই বুঝতে পারেননি। জায়গায় দাঁড়িয়ে লাফিয়েও বল ছুঁতে পারেননি তিনি।
এই গোলের পর ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠে শুধুই সানজিদার প্রশংসা। ঢাকা এবং কলসিন্দুরের ফুটবলার সানজিদা কিভাবে ইস্টবেঙ্গলে ফুটবল খেলছেন সেটাই বললেন। দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময় সানজিদার কথাই ঘুরে ফিরে বারবার বলেছেন ধারাভাষ্যকাররা।
ম্যাচের ৫৬ মিনিটে তৃতীয় গোল পায় কিকস্টার্ট এফসি। এই গোলটি করেন কারিশমা।
সাবিনা অল্প সময় নেমেছিলেন মাঠে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক গোল না পেলেও ম্যাচে বেশ কয়েকটি মুভ করেছেন। গোলের সুযোগ তৈরি করেছেন।
শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে সাবিনা-সানজিদা দু জন মাঠের মধ্যেই কুশল বিনিময় করেন।
মায়ের অসুস্থতার কারণে মঙ্গলবার দেশে ফিরে আসবেন সাবিনা। তবে সব ঠিক থাকলে ১০ ফেব্রুয়ারি যোগ দেবেন দলের সঙ্গে।