প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার ব্যাটিং গড় ৭০ ছুঁই ছুঁই। করেছেন ১৪টি সেঞ্চুরি, এর একটি ৩০০ ছড়ানো। জাতীয় দলে জায়গা হচ্ছিল না তারপরও।
এজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা সময় উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ। ভারতীয় ক্রিকেটে ‘বিদ্রোহী’খ্যাত সরফরাজ খানের অবশেষে টেস্ট অভিষেক হল আজ (বৃহস্পতিবার) রাজকোটে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
সরফরাজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবা নওশাদ খান। ধরে রাখতে পারেননি নিজেকে, কেঁদে ফেলেন তিনি।
সরফরাজকে অনিল কুম্বলের কাছ থেকে টুপি নিতে দেখে প্রথমে হাসলেও চোখের পানি আটকে রাখতে পারেননি শেষ পর্যন্ত। সরফরাজও জড়িয়ে ধরেন বাবাকে। সেখানে ছিলেন সরফরাজ়ের স্ত্রীও। বাবার পরে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেন সরফরাজ।
ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে ৯৭ নম্বর জার্সি পড়ে খেলেন সরফরাজ। টেস্ট অভিষেকেও তার জার্সি নম্বর ৯৭। হিন্দি ৯-কে নও আর ৭-কে সাত (শাদ-এর অপভ্রংশ) বলা হয়। বাবার জন্যই এই নম্বরের জার্সি সরফরাজের।
Aakash Chopra – did you wait for too long to see Sarfaraz Khan making his debut?
— Mufaddal Vohra (@mufaddal_vohra) February 15, 2024
Naushad Khan – Raat ko waqt chahiye guzarne ke liye, lekin Suraj meri marzi se nahi nikalne wala (it takes time for the night to pass, the sun is not going to rise according to my wish). pic.twitter.com/LqN60mUkfI
ম্যাচ চলার সময় সম্প্রচারকারী সংস্থার হিন্দি ভাষার ধারাভাষ্য বক্সে দেখা যায় নওশাদকে। সেখানে আকাশ চোপড়া জানতে চান, “সরফরাজের অভিষেকের জন্য কি একটু বেশি দিন অপেক্ষা করতে হল?”
উত্তরে নওশাদ বলেন, “রাত কো ওয়াকত চাহিয়ে গুজ়ারনে কে লিয়ে, লেকিন সূরজ মেরি মর্জি সে নেহি নিকালনে ওয়ালা।” এর বাংলা অর্থ, ‘‘রাতের অন্ধকার কাটতে সময় লাগে, কিন্তু সূর্য আমার ইচ্ছা অনুযায়ী উঠবে না।’’
বোঝাই যাচ্ছে, ছেলের টেস্ট অভিষেকে এত সময় লাগায় অভিমানি বাবা নওশাদ।