সাভারের আশুলিয়ায় ব্যবসায়ী কাজিমুদ্দিনকে (৫০) গলা কেটে হত্যার অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার তার ভাতিজা আব্দুল লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছেন, কাজিমুদ্দিনের আপন বড় ভাইয়ের ছেলে লতিফ। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তিনি চাচার সঙ্গে থাকতেন। পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে চাচা-ভাতিজার বিরোধ দীর্ঘ দিনের। এই বিরোধের জেরে গত মঙ্গলবার রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, লতিফকে বৃহস্পতিবার রাতে আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছে থেকে নিহতের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন র্যাব সদস্যরা।
র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন জানান, বুধবার ১০টার দিকে আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় লিপি ডেইরি ফার্মের বিশ্রাম রুম থেকে ফার্মটির মালিক কাজিমুদ্দিনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা এ ঘটনাকে নির্বাচনপরবর্তী সহিংসতা হিসেবে সন্দেহ করার পর বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বিষয়টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড হিসেবে আসে।
বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের স্ত্রী আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করার পর র্যাব-৪ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে লতিফকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক জানান, পরে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে লতিফ হত্যার কথা স্বীকার করেন। লতিফ জানিয়েছেন, পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ নিয়ে চাচার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই তার বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হতো।
গত মঙ্গলবার রাতে নিজের ডেইরি ফার্মের বিশ্রাম রুমে ছিলেন কাজিমুদ্দিন। সেখানে লতিফ গেলে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে আবারও বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে লতিফ উত্তেজিত হয়ে রুমের ভেতরে থাকা বটি নিয়ে চাচা কাজিমুদ্দিনের গলায় কোপ দেন।
খন্দকার আল মঈন জানান, ঘটনা লুকাতে লতিফ তার চাচার ব্যবহৃত ফোনটি নিয়ে নেন। পরে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি পাশের রুমে রেখে পালিয়ে যান। পরদিন ফার্ম কর্মচারী গরুর ওষুধ নিতে ঘরে ঢুকে বিছানায় কাজিমুদ্দিনের গলা কাটা মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশে মরদেহ উদ্ধার করে।