ঢাকার সাভারে মাদক কারবারে বাধা দেওয়ায় গৃহবধূকে অপহরণ করে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ওই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিকালে বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর থেকে মাটি খুঁড়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সীমা আক্তারের (৪৫) গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর। তিনি সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগরে বোনের বাসায় ভাড়া থাকতেন। তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম সৌদি আরব থাকেন।
ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুবশশিরা হাবীব খান জানিয়েছেন, গত ২ জুন সীমা আক্তার নিখোঁজ হলে তার মেয়ে তানিয়া আক্তার সাভার মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন। আসামি করেন মাদক কারবারি স্বপন, আসিফ, সাইফুল ইসলাম ও রেজাউলকে।
মামলায় বৃহস্পতিবার সকালে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খনিজনগরে স্বপনের বাড়ির পাশে মাটি খুঁড়ে সীমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্বপন ও তার সহযোগীরা খনিজনগর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক করবারে জড়িত। এতে বাধা দিতেন সীমা আক্তার। এজন্য এর আগে মাদক কারবারিরা তাকে মারধরও করে।
নিহতের মেয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন আগে মায়ের সঙ্গে শেষ কথা হয়। তখন তার মা তাকে বলেছিলেন, স্বপন ও তার সহযোগীরা হত্যা করে গুম করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
বিরুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম মণ্ডল বলেন, “শুনেছি মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় ওই নারীকে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে রেখেছিল মাদক ব্যবসায়ীরা।”
পুলিশ কর্মকর্তা মুবশশিরা হাবীব খান আরও জানান, কীভাবে তাকে হত্যা করা হয়- জিজ্ঞাসাবাদে তা স্বীকার করেছেন সাইফুল। মরদেহটি ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়েছে। সব আসামিকে আটক ও তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।