ঢাকার সাভারে তেলবাহী ট্যাংকার উল্টে লাগা আগুন আরও পাঁচ গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় দগ্ধ সাতজনের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
সাভারের হেমায়েতপুরে মঙ্গলবার ভোরের এই ঘটনায় আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দুজনের।
ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম সকাল সন্ধ্যাকে জানান, দগ্ধ সাতজনকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
তিনি জানান, সাভারে দুর্ঘটনার পর আটজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। এদের মধ্যে মো. নজরুল ইসলাম (৪৫) নামে একজন পথেই মারা যান।
বাকি সাতজন– বরিশালের বাকেরগঞ্জের মিলন (২২), বরগুনার মিম (১০), আল আমিন (৩৫), নিরঞ্জন (৪৫), সাকিব (২৪), হেলাল (২১) ও রাজশাহীর আবদুস সালাম (৩৫) এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদের মধ্যে সাকিব ও হেলালের শরীরের শত ভাগ পুড়ে গেছে জানিয়ে চিকিৎসক তরিকুল বলেন, “তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। বাকিদের মধ্যে একজনের ৪৫ শতাংশ, আরেকজনের ২০ শতাংশ পুড়েছে– এটাও গুরুতর।”
মঙ্গলবার ভোরে সাভারের হেমায়েতপুরে জোড়পুল এলাকার কাছে উল্টে যাওয়া তেলবাহী ট্যাংকারটিতে আগুন ধরে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোড়পুল এলাকায় পাথর দিয়ে ইউটার্ন করা হয়েছিল। গাবতলী থেকে সাভারে যাওয়ার পথে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জোড়পুল এলাকায় ইউটার্নের পাথরে লেগে তেলবাহী ট্যাংকারটি উল্টে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পেছনে আটকে থাকা চারটি ট্রাক ও একটি প্রাইভেটকারে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও একটি অ্যাম্বুলেন্স দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া দগ্ধ আটজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।