কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হওয়ার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন।
তারা হলেন- এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন।
অপেশাদার আচরণের কারণে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান রংপুর মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কারের আন্দোলন সহিংসতায় গড়ানোর পর প্রথম নিহত হন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাঈদ।
গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে তাকে পুলিশ সরাসরি গুলি করেছিল বলে আন্দোলনকারীদের দাবি। পুলিশের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর সাঈদের ছবি এই আন্দোলনে প্রেরণা হিসাবে কাজ করছে। তার সেই ছবি ঘুরছে ফেইসবুকের ওয়ােল ওয়ালে।
উপ পুলিশ কমিশনার মারুফ বলেন, আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ওই দুই পুলিশ সদস্যের অপেশাদার আচরণ প্রমাণিত হয়েছে, যার কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
সাঈদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটি আবু সাঈদের সুরতহাল, সেদিনের ভিডিও, ছবি এবং পারিপার্শ্বিক ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখেছে জানিয়ে মারুফ বলেন, আর কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে যে আন্দোলন শুরু হয়, তার রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ছিলেন সাঈদ।
১৫ জুলাই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রান্ত হওয়ার পরদিন সংঘাত হয় বিভিন্ন জেলায়। তাতে রংপুরে সাঈদসহ ঢাকা ও কুমিল্লায় ছয়জন নিহত হয়।
এরপর সহিংসতার মাত্রা আরও বাড়ে। কয়েক দিনেই দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করে সারাদেশে সেনা মোতায়েন করেছে সরকার।
সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সরকার চাকরিতে কোটা ৭ শতাংশে নামিয়ে আনলেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গুলিতে নিহতদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।