Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের এমডির চাকরি ছাড়লেন হাবিবুর

মো. হাবিবুর রহমান।
মো. হাবিবুর রহমান।
[publishpress_authors_box]

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মো. হাবিবুর রহমান।

রবিবার হঠ্যাৎ করেই ব্যাংকের পর্ষদ বরাবর ৩ মাসের ছুটির নোটিশ দিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন তিনি।

এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন তারা।

গত বৃহস্পতিবার ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদের সূত্র ধরে হাবিবুর রহমান পদত্যাগ করেছেন বলে ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র জানিয়েছে। জানা গেছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মন জুগিয়ে চলতে না পেরে বিদায় নিতে চলেছেন হাবিবুর।

তবে এ বিষয়ে সরাসরি কিছু বলতে রাজি হননি মো. হাবিবুর। রবিবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “পরে কথা বলি। আমি একটি মিটিংয়ে আছি।” এরপর আর কল করলেও কোনও কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

এ বিষয়ে কথা বলতে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাতে সাড়া দেননি। ব্যাংকটির অন্য এক পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।

ব্যবসায়ী নেতা ও এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদের গড়ে তোলা বেসরকারি ব্যাংক দীর্ঘদিন প্রচলিত ধারায় চললেও পরে ইসলামিক ধারার ব্যাংকিংয়ে রূপান্তরিত হয়।

২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে তৃতীয় প্রজন্মের এই ব্যাংকটি।

এই ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে মো. হাবিবুর রহমান যোগ দেন গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি।

এর আগে তিনি ইউনিয়ন ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) এবং তার আগে এনসিসি ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়া দীর্ঘ ৩৩ বছরের কর্মজীবনে প্রাইম ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সম্প্রতি এনআরবি ব্যাংকের এমডির পদ থেকে পদত্যাগ করেন মামুন মাহমুদ শাহ। ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ বিতরণে রাজি না হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে সরে যেতে হয় বলে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর বের হয়। এতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

তবে এর কয়েকদিন পরই ব্যাংক এমডিদের সুরক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি নীতিমালা জারি করা হয়। তাতে ব্যাংকের এমডিদের চাকরির অব্যাহতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনুমোদনের শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়।

এর আগেও গত দুই-আড়াই বছরে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের এমডিকে পর্ষদের চাপে পদ ছাড়তে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে অস্বস্তি কাজ করছে বলে মনে করেন ব্যাংক নির্বাহীরা।

এ বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “কোনও ব্যাংক নির্বাহীই চান না তার অবসরের সময় আসার আগে চাকরি ছাড়তে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পর্ষদের সঙ্গে সব বিষয়ে ঐক্যমত না হওয়ায় চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে হয়।

“তবে এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি নীতিমালা করেছে এমডিদের সুরক্ষার জন্য। সেই নীতিমালা অনুযায়ী সব কিছু খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি কোনও এমডিকে পুনর্বহাল করতে পারে তিনি হয়তো আবার চাকরিতে ফিরবেন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে তো চাকরি ছাড়তেই হবে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত