গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স থেকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে দায়ের করা পাঁচটি মামলা বাতিল করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় আপিল বিভাগ বহাল রেখেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানি শেষে রবিবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ পৃথকভাবে এ রায় দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। আর ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হওয়ায় হাই কোর্টের রায় বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আপিলের অনুমতি চেয়ে ফৌজদারী আবেদন করেছিল। শুনানির পর আদালত আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ হাই কোর্ট বিভাগের রায় বহাল।
এর আগে এ মামলাগুলো বাতিলে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে গত ২৪ অক্টোবর পৃথক পাঁচটি রায় দেয় বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
পরে এসব রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আবেদনের শুনানি শেষে রবিবার খারিজ করে রায় দিল আপিল বিভগ।
২০১৯ সালের ৩ জুলাই গ্রামীণ ট্রাস্টভুক্ত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স থেকে চাকরিচ্যুত করায় ঢাকার শ্রম আদালতে এই পাঁচ মামলা দায়ের করা হয়। পাঁচ বাদী হলেন- গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সাবেক জুনিয়র এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) আব্দুস সালাম, শাহ আলম, এমরানুল হক, হোসাইন আহমদ ও আব্দুল গফুর।
পরে এসব মামলা বাতিল চেয়ে ২০২০ সালে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন ড. ইউনূস। পরে শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট। এরপর শুনানি শেষে চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর রায় দেয় হাই কোর্ট। রায়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা পাঁচটি মামলা বাতিল করে দেওয়া হয়।