সালভাতর ‘তোতো’ শিলাচি এখন অন্য লোকে। ১৯৯০ ফুটবল বিশ্বকাপের সেরা গোলদাতা বুধবার মারা গেছেন কোলন ক্যান্সারে ভুগে। ক্যারিয়ারে ৭ গোলের ৬টিই সেই বিশ্বকাপে করেছিলেন শিলাচি। ইতালি সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেলেও গোল্ডেন বুটের পাশাপাশি গোল্ডেন বল জিতেছিলেন তিনি।
শিলাচির পাশাপাশি আরও অনেকে মাতিয়েছেন ১৯৯০ বিশ্বকাপ। তাদেরই কয়েকজনকে নিয়ে এই আয়োজন।
টমাস স্কুহরাভি
চোকোস্লোভাকিয়ার টমাস স্কুহরাভি ১৯৯০ বিশ্বকাপে করেছিলেন ৫ গোল। দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে দিতে তিনি রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বিশ্বকাপ শেষে তিনি যোগ দেন ইতালির ক্লাব জেনোয়ায়।
২০১৮ সালে যোগ দেন ইতালির সিরি ‘সি’র ক্লাব কুনেয়োতে। অর্থনৈতিক সমস্যায় ইতালিয়ান ফুটবল থেকে পরের বছরই ছিটকে যায় কুনেয়ো। কিন্তু ইতালিতেই স্থায়ী হন টমাস স্কুহরাভি। তিনি এখন একটি রেস্টুরেন্ট পরিচালনা করেন জেনোয়ার লিগুরিয়ায়। এই রেস্টুরেন্টের মালিক স্কুহরাভি।
লোথার ম্যাথুজ
১৯৯০ বিশ্বকাপে পশ্চিম জার্মানি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লোথার ম্যাথুজের নেতৃত্বে। পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলা এই কিংবদন্তি অবসরের পর বেছে নিয়েছিলেন কোচিং ক্যারিয়ার। কোচ ছিলেন হাঙ্গেরি ও বুলগেরিয়ার।
মাঠের বাইরে ম্যাথুজ কাটিয়েছেন রঙিন জীবন। চার সন্তানের এই জনের ডিভোর্স হয়েছে পাঁচবার। সর্বশেষ ২০২১ সালে রাশিয়ার মডেল আনাস্তাশিয়া ক্লিমকোকে বিয়ে করেন ম্যাথুজ।
পল গ্যাসকোয়েন
ইংল্যান্ডের সেমিফাইনালে পৌঁছানোর অন্যতম নায়ক ছিলেন ‘গাজ্জা’ নামে পরিচিত পল গ্যাসকোয়েন। সেমিফাইনালে হলুদ কার্ড দেখেছিলেন তিনি, তাই দল ফাইনালে পৌছঁলে খেলা হত না। হলুদ কার্ডের পরই তাই গ্যাসকোয়েন ভেঙে পড়েন কান্নায়। ইংল্যান্ড অবশ্য পেনাল্টিতে শেষ চারেই হেরে যায় পশ্চিম জার্মানির কাছে।
পল গ্যাসকোয়েন ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়েন অ্যালকোহলে। গত মার্চে জানা যায় গৃহহীন হয়ে পড়েছেন তিনি! গ্যাসকোয়েন নিজেই জানান এজেন্টের বাড়ির অতিরিক্ত একটা রুমে থাকার কথা।
রজার মিলা
৩৮ বছর বয়সী ক্যামেরুন তারকা রজার মিলা পরিচিত ছিলেন না সেভাবে। ’৯০ বিশ্বকাপে চার গোল করে তারকা বনে যান মিলা। গোলের পর কর্নার ফ্লাগের কাছে তার নাচ হৃদয় কেড়েছিল ফুটবলপ্রেমীদের।
অবসরের পর মিলা করিয়েছেন ক্লাব কোচিং। এখন তিনি ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ড ফান্ডের স্বেচ্ছাসেবী।