ঢাকা থেকে অপহরণের এক মাস পর এক স্কুলছাত্রীকে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এতে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার মধ্যরাতে কক্সবাজার শহরের লাইট হাউজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান র্যাব ১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের জ্যেষ্ঠ সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।
গ্রেপ্তার আব্দুল আলীম মীর্জা শান্ত (৩২) বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার জলক্ষ্মীপুর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে।
মো. কামরুজ্জামান জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর নবম শ্রেণীর ওই স্কুলছাত্রীকে ঢাকা মহানগরীর কোতোয়ালী থানার বিক্রমপুর গার্ডেন সিটি মার্কেট এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়।
মামলার নথির বরাতে কামরুজ্জামান বলেন, এক মাস আগে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় ফুপি সাহিদা বেগমের বাসায় বেড়াতে যায়। ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সে ফুপির বাসা থেকে ঢাকার কোতোয়ালী থানার বিক্রমপুর গার্ডেন সিটি মার্কেট এলাকায় কাজে বের হয়। এসময় তার সঙ্গে আরেক ফুপির পূর্ব পরিচিত আব্দুল আলীম মীর্জা শান্তর দেখা হয়। তখন শান্তসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নিয়েও স্বজনরা স্কুলছাত্রীর সন্ধান পাননি। পরে গত ৪ অক্টোবর স্কুলছাত্রীর ফুপি সাহিদা বেগম বাদী হয়ে আব্দুল আলীম মীর্জা শান্তকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ৩ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কোতোয়ালী থানায় এজাহার দায়ের করেন। মামলাটি নথিভূক্ত হওয়ার পর র্যাবের নজরে এলে কিশোরী উদ্ধারেঅভিযান শুরু হয়।
কক্সবাজারের লাইট হাউজ এলাকায় একটি আবাসিক কটেজে অভিযুক্ত শান্তসহ ওই স্কুলছাত্রীর অবস্থানের খবর পেয়ে রবিবার মধ্যরাতে অভিযান চালানোর কথা জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থল ঘিরে ফেললে সন্দেহজনক একজন দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় ধাওয়া দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে কটেজ থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।”
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার শান্ত ‘প্রেমের ফাঁদে ফেলে’ ওই স্কুলছাত্রীকে তুলে আনার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান মো. কামরুজ্জামান। শান্তকে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।