Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে, ভয়েস মেসেজে নাবিক রাজু

raju
মো. আনোয়ারুল হক রাজু
Picture of আঞ্চলিক প্রতিবেদক, নোয়াখালী

আঞ্চলিক প্রতিবেদক, নোয়াখালী

সাত বছর ধরে জাহাজে চাকরি করেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রামপুর গ্রামের আজিজুল হক মাস্টারের ছেলে মো. আনোয়ারুল হক রাজু (২৯)। প্রতি রাতেই নিয়ম করে মা দৌলত আরা বেগমকে ফোন করেন। সবশেষ মঙ্গলবার রাতেও ফোন করেছিলেন, তবে সেই ফোন ছিল অন্যরকম।

ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী এমভি আবদুল্লাহ

জাহাজে এবল সি-ম্যান (ডেক নাবিক) হিসেবে কর্মরত রাজু। বাকি ২২ নাবিকের মতো তিনিও আটকে আছেন আশা-নিরাশার দোলাচলে, একই অবস্থা তার গ্রামের বাড়িতেও। সন্তানের মঙ্গল কামনায় আর তীব্র উৎকণ্ঠায় এখন দিন কাটছে আজিজুল হক মাস্টারের বাড়ির লোকজনের।

মঙ্গলবার জলদস্যুরা জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর কয়েকবার বাড়িতে টেলিফোন করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন রাজু। দুপুরে প্রথমে মেসেজ পাঠান তিনি। যেখানে নিশ্চিত করেন জলদস্যুদের কবলে পড়ার।

এরপর আর তাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। রাজুর ছোট ভাই মো. জিয়াউল হক রনি বলেন, “দুপুরে তার মেসেজ পাওয়ার পর আমরা যোগাযোগের জন্য অনেকে চেষ্টা করি। পরে চট্টগ্রাম অফিসে টেলিফোন করলে তারা আমাদের নিশ্চিত করে যে জাহাজটা হাইজ্যাক হয়েছে।”

পরে ইফতারের সময় আবার টেলিফোন করেন রাজু। তখন তিনি জানান, জলদস্যুরা জাহাজটি সোমালিয়ার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।  

রাজুর ছোট ভাই আরও বলেন, “রাত ১০টার দিকে আবার ফোন দিয়ে বলেছে যে, সোমালিয়ায় যেতে তাদের দুই-আড়াই দিন লাগবে। হয়ত ওখানে নিয়ে গেলে আর যোগাযোগ করতে পারবে না। ওখানে নিয়ে গেলে তাদের জলদস্যুদের আরেক গ্রুপের কাছে তুলে দেবে বলে জানিয়েছে সে। ফোন রাখার আগে সবাইকে দোয়া করতে বলেছে।”

সকাল সন্ধ্যার কথা হয় রাজুর বন্ধু ইমরানের সঙ্গে। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার দুপুরে একটি ভয়েস মেসেজ পাঠিয়ে ঘটনাটি জানায় রাজু। সেখানে সে সবাইকে দোয়া করতে বলে। সে বলে, বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে।

“এরপর রাতে অন্য একটি ভয়েস মেসেজে রাজু জানায়, তাদের সবাইকে একটি জায়গায় আটকে রেখেছে। তাদের সেহেরির জন্য সামান্য খাবার দিয়েছে, তারা খুব ভয় ভীতির মধ্যে আছে।”

রাজুসহ জাহাজে জিম্মি সব বাংলাদেশিকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তার বাবা আজিজুল হক মাস্টার।

তিনি বলেন, “জাহাজে থাকা আমার সন্তানসহ সবাই ভয়ভীতির মধ্যে আছে। দস্যুরা তাদের সবাইকে একে একে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। তাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের এলাকার মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেররের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত