Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

নবীগঞ্জে আওয়ামী লীগের নেতাদের ফাঁক গলে জিতে গেলেন সেফু

মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফু (বাঁয়ে)।
মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফু (বাঁয়ে)।
[publishpress_authors_box]

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা চেয়ারম্যান হতে যাচ্ছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাঁচজন। তাদের সবার ভোট যোগ করলে সেফুর ভোট দাঁড়ায় তার তিন ভাগের এক ভাগ।

নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন সেফু। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে অংশ নেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

এদিকে বিএনপি ভোট বর্জন করায় আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে অংশ না নেওয়ায় এই দলের একাধিক নেতার প্রার্থী হওয়ার পথ ছিল খোলা।

মঙ্গলবার দিনভর ভোটগ্রহণের পর রাতে ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, চেয়ারম্যান পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন সেফু। তিনি চিংড়ি প্রতীকে পান ২৫ হাজার ১৫৯ ভোট।

চেয়ারম্যান পদে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৫১ ভোট।

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৫৬৩ ভোট।

হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম নূরউদ্দিন চৌধুরী বুলবুল দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৪২ ভোট।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. ইমদাদুর রহমান মুকুল হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৪৭ ভোট।

জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৭৬ ভোট।

এছাড়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহ আবুল খায়ের কৈ মাছ প্রতীকে ১৯৫০ এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী শেখ মোস্তফা কামাল কাপ পিরিচ প্রতীকে ১৯০৫ ভোট পেয়েছেন। 

নবীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অনুপম দাস অনুপ সকাল সন্ধ্যাকে জানান, এই উপজেলায় মোট ২ লাখ ৮২ হাজার ৭১৪ জন ভোটারের মধ্যে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৭ জন ভোট দিয়েছেন। ভোটের হার ৪০ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

বিজয়ী সেফু আশা করছেন, বিএনপি তার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেবে। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় বিবেচনাকে প্রাধান্য না দিয়ে মানুষ তাদের পছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দেয়। আমাকেও দলমতের উর্ধ্বে উঠে সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আশা করি, দল বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিয়ে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করবে।”

ভোটের হার নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু জাহির এমপি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমাদের দলের পক্ষ থেকে কাউকে মনোনয়ন বা সমর্থন দেওয়া হয়নি। জনগণ যাকে পছন্দ করেছে তাকে ভোট দিয়েছে।

“এখানে সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। কাজেই দলীয় পরিচয়ে কাউকে চিহ্নিত করা ঠিক নয়। আমরা একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চেয়েছিলাম।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত