নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ার লক্ষ্যে প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতের দারস্থ হওয়া সেলিম প্রধান প্রার্থিতা তো ফিরে পেলেনই না, উল্টো তাকে গুনতে হচ্ছে জরিমানা।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে চেম্বার আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে সেলিম প্রধানের করা আবেদনের ওপর শুনানির দিন ছিল আজ বৃহস্পতিবার। তবে এদিন সেলিম প্রধানের আইনজীবী আদালতকে জানান, তারা মামলা চালাবেন না।
এ অবস্থায় আদালতের সময় নষ্ট করায় ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আট বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে সেলিম প্রধানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম নুরুল আলম। অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান, তার সঙ্গে ছিলেন মাহিন এম রহমান।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মাহিন এম রহমান বলেন, “সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বৈধতা ঘোষণা করে হাইকোর্টের আদেশ আমরা চেম্বার আদালতে স্থগিত পেয়েছিলাম। এই স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে তারা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আবেদনটি আপিল বিভাগের আজকের তালিকায় আসলে তারা মামলা পরিচালনা করবেন না বলে জানালে আদালত তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে।”
এ বিষয়ে সেলিম প্রধানের আইনজীবী এ কে এম নুরুল আলম বলেন, “আমার ক্লায়েন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আজকে মামলাটি চালাব না বলে আদালতকে জানালে আদালত ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আদালতের সময় নষ্ট হয়েছে বলে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। আর মামলাটি তুলে নেওয়ার ফলে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রয়েছে।”
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জহ ১৫৭ উপজেলায় ভোট হবে। রূপগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়তে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সেলিম প্রধান। গত ২৩ এপ্রিল যাচাই-বাছাই শেষে মানি লন্ডারিং ও দুদকের মামলায় সাজা হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়ন বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে সেলিম প্রধান আপিল করলে ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক তা খারিজ করে দেয়।
পরে ৩০ এপ্রিল প্রার্থিতার ফিরে পেতে ও প্রতীক বরাদ্দ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে তাকে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের সেই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের আরেক প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান। তার আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে দেয় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত।
পরে চেম্বার আদালতের আদেশ বাতিল চেয়ে আপিল বিভাগে যান সেলিম প্রধান।
