Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

ক্যাসিনোকাণ্ডে ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’, দাবি সেলিম প্রধানের

সেলিম প্রধান।
সেলিম প্রধান।
[publishpress_authors_box]

দেশে ২০১৯ সালে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধান ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ হয়েছিলেন দাবি করে অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে সেসময় তাকে ফাঁসানো হয়েছিল।

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “একটি বাহিনীর সাবেক প্রধানের দুই ভাই ষড়যন্ত্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে আমাকে ফাঁসিয়েছে।”

জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারসের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান। ক্যাসিনোকাণ্ডে চার বছর জেলে কাটিয়েছেন তিনি। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা মর্তুজাবাদ এলাকায়। সেখান থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সেলিম প্রধানের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়েন তার ব্যক্তিগত আইনজীবী কামাল হোসেন। সেখানে তার রুশ স্ত্রী আনা প্রধান ও তিন শিশু সন্তানও উপস্থিত ছিলেন।

২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর তাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, “একটি বাহিনীর সাবেক প্রধান কর্মকর্তার দুই ভাই পরিকল্পিতভাবে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তাদের নিয়ে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। সেখানে তারা বলেছেন, আমাকে কীভাবে ফাঁসানো হয়েছে, কীভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আমাকে প্লেন থেকে আটক করা হয়েছে।

“অথচ এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন অতিক্রম করা মানে, তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই, আইনি কোনও মামলা বা জটিলতা নেই। তারপরও আমাকে প্লেন থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করে পরিকল্পিতভাবে নাটক সাজানো হয়েছে।”

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে চার বছর জেলে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ সেলিমের। তিনি বলেন, “আমি জেলে থাকা অবস্থায় আমার শিশু সন্তানদের নিয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরেছে আমার স্ত্রী। আমি জেল থেকে বেরিয়ে এসব ষড়যন্ত্রের কথা গণমাধ্যমে বলে এসেছি। আমি ওই ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার চাই।”

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছর জেলে কাটানো সেলিম প্রধান দাবি করেন, তিনি কখনওই অনলাইন ক্যাসিনো কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

লিখিত বক্তব্য পাঠের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সেলিম প্রধান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাকে ক্যাসিনো ডন বলল, কিন্তু আমার বিরুদ্ধে কোনও ক্যাসিনোর মামলা হয় নাই। আর ক্যাসিনোটা কোথায় আছে বলেন তো? আমিও জানতে চাই। আমি যাদের কথা বলছি, তারা কী ধরনের ব্যক্তি তা আপনারা ভালো করেই জানেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে লড়ব, সেই প্রক্রিয়া চলছে।”

ফৌজদারি মামলায় দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিধিনিষেধ রয়েছে- সাংবাদিকরা এ প্রসঙ্গ তুললে সেলিমের আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, “দুদক যেমন সাজা বাড়ানোর জন্য আপিল করেছে, তেমন আমরাও সাজা কমানোর আপিল করেছি। বিষয়টি চলমান রয়েছে। যতক্ষণ মামলা শেষ না হয়, ততক্ষণ কাউকে দোষী বলা যায় না।”

বর্তমানে তার বিরুদ্ধে মাদক, অর্থপাচারসহ চারটি মামলা চলমান রয়েছে জানিয়ে সেলিম বলেন, “আমাকে বিমান থেকে নামানোর আগে কোনও মামলা ছিল না। বিমান থেকে নামানোর পর সব মামলা দেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত