Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫

মিয়ানমারের লালদিয়ায় তীব্র সংঘাত, গুলি আসছে এপারেও

টেকনাফ স্থলবন্দরের কার্যালয়ের জানলা বুধবার গুলি লেগে ভেঙে যায়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
টেকনাফ স্থলবন্দরের কার্যালয়ের জানলা বুধবার গুলি লেগে ভেঙে যায়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের লালদিয়া চরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) ও আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র সংঘাত চলছে।

মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে দুই পক্ষের ছোড়া গুলি এপারের টেকনাফ স্থলবন্দরের কার্যালয়, পণ্যবাহী ট্রাক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতঘরে লেগেছে। এতে টেকনাফ সীমান্তের স্থলবন্দরসহ দমদমিয়া এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

এছাড়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাতের সময়ও টেকনাফের স্থলবন্দরের ভবনে গুলি এসে লাগে।

টেকনাফের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।    

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নজির আহমদ বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আরএসও লালদিয়া চরে অবস্থান করছে। তাদের লালদিয়া ছেড়ে চলে যেতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু আরএসও লালদিয়ার নিয়ন্ত্রণ না ছাড়ায় মঙ্গলবার আরাকান আর্মি লালদিয়ায় হামলা চালায়, যা পরদিন বুধবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলে।”

টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, বুধবার দুপুরে গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে উপজেলার দমদমিয়াসহ বন্দর এলাকা। লড়াইরত পক্ষের ছোড়া গুলি দমদমিয়ায় আয়ুব নামের এক বাসিন্দার বাড়িতে লেগে জানালা, ঘরের ভেতরের আলমারি ভেঙে গেছে। বন্দরের কার্যালয়েও কয়েকটি গুলি এসে লাগে।

স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেড, টেকনাফের ব্যবস্থাপক সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বুধবার দুপুরে কার্যালয়ে অবস্থান করার সময় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে কার্যালয়ের জানালায় এসে গুলি লাগে। জানালা ভেঙে যায়। এসময় বন্দরের পণ্যবোঝাই একটি ট্রাকের কাচ গুলি লেগে ভেঙে যায়। গোলাগুলির কারণে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ আছে।

আরএসও ও আরাকান আর্মির সংঘাতের সময় টেকনাফে একটি ট্রাক গুলিবিদ্ধ হয়। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাতের সময় কয়েকটি গুলি টেকনাফ স্থলবন্দরের ভবনে আঘাত হানে। এতে ভবনটির দরজা-জানালার কাচ ভেঙে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

আদনান চৌধুরী বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্ট গার্ডসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত