কাকুলে ফিটনেস ক্যাম্প চলার সময়ই নির্বাচকরা শাহিন শাহ আফ্রিদিকে জানান, ‘‘তুমি আর টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক থাকছ না।’’
আফ্রিদি কারণ জানতে চাইলে উত্তর দিতে পারেননি নির্বাচকদের কেউ। এরপর পিসিবি সাদা বলের অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করে বাবর আজমের নাম। পাকিস্তানের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে তিনটি আলাদা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাই নেতৃত্ব দিবেন বাবর।
এরপর পিসিবি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে, সেখানে বাবরের সঙ্গে মিলে পাকিস্তানকে বিশ্বসেরা দলে পরিণত করতে চাওয়ার কথা বলেছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
সেই বিবৃতি নিয়ে এবার রেগে অগ্নিশর্মা আফ্রিদি। ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, এটা ভুয়া বিবৃতি। তার সঙ্গে কথা না বলে যা প্রকাশ করেছে পিসিবি।
বরং যেভাবে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে আফ্রিদি মোটেও খুশি নন। এ নিয়ে পাল্টা বিবৃতিও দিতে চেয়েছিলেন তিনি, তবে তাকে থামিয়েছে পিসিবি। তাতেও রাগ কমেনি আফ্রিদির। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সঙ্গে এ নিয়ে আজ (সোমবার) বৈঠক হওয়ার কথা আছে তার।
আফ্রিদির সঙ্গে কথা না বলে লেখা সেই বিবৃতিতে ছিল, ‘‘দলের খেলোয়াড় হিসেবে অধিনায়ক বাবর আজমকে সমর্থন জানানো আমাদের কর্তব্য। আমি তার নেতৃত্বে খেলেছি এবং তার প্রতি আমার শুধুই শ্রদ্ধা রয়েছে। মাঠ এবং মাঠের বাইরে আমি তাকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব। আমরা সবাই এক। আমাদের লক্ষ্যও এক, বিশ্বের সেরা দল বানানো পাকিস্তানকে।’’
এটা অস্বীকার করার অর্থ, বাবরকে অধিনায়ক মানছেন না আফ্রিদি। মানে নতুন গৃহদাহ শুরু হল পাকিস্তান ক্রিকেটে। সেটা স্পষ্ট শাহিন শাহর শ্বশুর ও পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির কথাতেও। বাবরকে অধিনায়ক মানতে পারছেন না তিনি।
শহীদ আফ্রিদি এক্সে লিখেছেন, ‘‘নির্বাচক কমিটিতে থাকা খুব অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নেওয়া সিদ্ধান্তে আমি বিস্মিত। পরিবর্তন যদি দরকারই ছিল, তাহলে সেরা বিকল্প ছিল রিজওয়ান।’’